প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ২০০ মিটারের মধ্যে জনসভা আহ্বান করে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া। গতকাল বুধবার বিকেলে মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামে ডাকা দুই জনসভায় নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই জনসভা করেছে সাবেক সংসদ সদস্যের পক্ষ।

জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনসভাস্থলে এসে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা, নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে ফজলুল হক, সেকেন্ড অফিসার সমর বড়ুয়া ও নাঙ্গলকোটে দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তারা।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শে দুপুর ১২টার দিকে নিজেদের জনসভা স্থগিতের ঘোষণা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলার আহ্বায়ক নজির আহম্মেদ ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন নয়ন, নাঙ্গলকোট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন মেম্বার, সদস্য সচিব অব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ।

অপরদিকে, উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিকেলে জনসভা করে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার পক্ষ। জনসভায় মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া।

জনসভার অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার সমকালকে বলেন, ‘আমরা দু’পক্ষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জনসভা না করার জন্য বলেছি। এক পক্ষ শুনেছে, অপর পক্ষ শোনেনি। কোনো অনুমতি ছাড়াই তারা জনসভা করেছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ জনসভ এমপ ন ঙ গলক ট উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন

ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির এক জনসভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াবে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দল তাদের দায়িত্ব নেবে না।”

রবিবার (১৫ জুন) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে কাওয়ালীপাড়া-নবগ্রাম বাজার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ধামরাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব জনসভায় উপজেলার গাংগুটিয়া, আমতা, বালিয়া, কুশুরা ও সানোড়া ইউনিয়নের বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

এসময় তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে লড়াই এক দিকে নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সময় আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমরা মোনাফেক, মীরজাফর সবাইকে নিয়ে একত্রে চলছি। আমরা এই চলাটা চাই না। আমরা চাই, দলে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, সুন্দর থাকবে। সেখান থেকে যোগ্যরা এগিয়ে আসবে, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব। এখানে ঐক্য ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। যারা সন্ত্রাসী করবে, তারেক রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি তাদের দায়িত্ব নেবেন না। অর্থাৎ দল তাদের দায়িত্ব নেবে না। অতএব যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিএনপির বলে চিন্তা করবেন না।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি করে বিএনপির সুবিধা নিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সময় আঁতাত করেছে। এখন বড় নেতা হয়েছে, তাদের বিষয় ঠান্ডা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। যেমনটি তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সামনে একটা কঠিন নির্বাচন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন দেবে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আপনাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এখানে আমরা সবাই জানি, ধামরাইয়ে নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে কি হবে আমরা জানি। আমরা সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছি।’’

সভায় আরও বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান খান ফরহাদ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মধু, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এইচ এম লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল নেতা মো. খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন