মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
Published: 31st, January 2025 GMT
মাদারীপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দিনভর ভোটের উত্তাপ ছড়ানোর পর রাত ১১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে বিজয়ীদের বেশির ভাগই আওয়ামী সমর্থিত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০০ ভোটারের মধ্যে ২৯৩ জনই ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য মোহাম্মদ ইমদাদুল হক খান ১৮২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর মাদারীপুর পৌর কৃষকলীগের সভাপতি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন শাকিল ১৯৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, আওয়ামীপন্থি আইনজীবী সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন আরমিন ও জালালুর রহমান মোল্লা, জুনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব হাসান সরোজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিলা পারভীন, জুনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ সুজন ভৌমিক, সম্পাদক-লাইব্রেরি মুনির হাসান মিঠু, সম্পাদক-মুহুরী কেএম আজিজুল হক মুকুল এবং কার্যকরী সদস্য পদে সৈয়দ তাহমিনা খানম তুলি, এনামুল হক, আব্দুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও আবু সুফিয়ান নির্বাচিত হন।
তবে সম্পাদক-আপ্যায়ন পদে বদরুন নাহার কলি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভোট গণনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় ৬ মাস করে দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে তারা এক পদে দু'জনই নির্বাচিত বলে বিবেচিত।
ঢাকা/বেলাল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।
প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।
এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।
পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।