সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, গত ২৪ জানুয়ারি ক্লিনিক থেকে ছুটি পান খালেদা জিয়া। ১৬ দিনের চিকিৎসা শেষে ক্লিনিক থেকে ছেলের বাসায় যান। সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান তিনি।

ডা.

জাহিদ আরও বলেন, লন্ডন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ডা. প্যাট্রিক কেনেডির নির্দেশনা মেনেই বাসায় রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। হোম ভিজিট সিস্টেমে চলছে তার চিকিৎসা। দীর্ঘদিন পর পারিবারিক আবহের সান্নিধ্য পেয়েছেন তিনি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে ছাড়া কখনোই খুব বেশিদিন বাইরে ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। দেশের মানুষের প্রতি তার মমত্ববোধ অনেক। দেশের মানুষের টানে শিগগিরই চিকিৎসা শেষে সুবিধাজনক সময়ে ফিরবেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। লিভার সিরোসিসসহ একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ