ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘কোল্ডপ্লে’র রেকর্ড
Published: 1st, February 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড মিউজিক ট্যুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দর্শক সমাগম হয়েছে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া কোল্ডপ্লের কনসার্টে। ব্রিটিশ এই ব্যান্ডের ওয়ার্ল্ড ট্যুর শেষ হতে আরও আট মাস বাকি। তার আগেই বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলল এ রক ব্যান্ডটি। সম্প্রতি ভারতের মুম্বাই এবং আহমেদাবাদে সব মিলিয়ে পাঁচটি শো করেছেন ক্রিস মার্টিনরা। তার পরেই গিনেস বুকে নাম লেখাল কোল্ডপ্লে।
জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি নিজেদের বৃহত্তম কনসার্টের রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিস মার্টিনরা। ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লাখ ৩৪ হাজার দর্শক এসেছিলেন কোল্ডপ্লের কনসার্টে। বৃহত্তম কনসার্টের নজির গড়তে পারেনি ব্রিটিশ ব্যান্ডটি। ২০১৭ সালে ২ লাখ ২৫ হাজার দর্শক হয়েছিল ইতালির মদেনা পার্কে অনুষ্ঠিত ইতালিয়ান সংগীতশিল্পী ভাস্কো রোসির কনসার্টে। যে রেকর্ড আজও ভাঙতে পারেনি কেউ।
ক্লোডপ্লের আগে ওয়ার্ল্ড ট্যুরে সবচেয়ে বেশি দর্শক সমাগম হওয়ার রেকর্ড ছিল মার্কিন গায়িকা টেইলর সুইফটের দখলে। তাঁর ‘দ্য ইরাস ট্যুরে’ সবচেয়ে বেশি দর্শক হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল কোল্ডপ্লের ‘মিউজিক অফ দ্য স্ফিয়ার্স ট্যুর’। গত বৃহস্পতিবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিউজিক ট্যুরের নিরিখে ইতিহাস গড়েছে ব্রিটিশ রক ব্যান্ড। এই প্রথমবার কোনো মিউজিক ট্যুরে এত বেশি দর্শক হয়েছে। নতুন রেকর্ড গড়া কোল্ডপ্লেকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে গিনেসের পক্ষ থেকে।
কোল্ডপ্লের ওয়ার্ল্ড ট্যুরে ভারতে একটিমাত্র কনসার্ট করার কথা ছিল। যদিও ভক্তদের চাপে মুম্বাই এবং আহমেদাবাদ মিলিয়ে মোট পাঁচটি অনুষ্ঠান করে জনপ্রিয় ব্রিটিশ ব্যান্ড। সব অনুষ্ঠানে ছিল উপচে পড়ে ভিড়। এমনকী টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। ভারতের একাধিক তারকাও ছিলেন তাদের কনসার্টে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক