রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়ম ছেয়ে গেছে। সংস্কারের মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরকে ঢেলে সাজানোর পর গ্রহণযোগ্য একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে এসময়টা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া প্রয়োজন। গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার পাশাপাশি আর যেন কোনোভাবেই রাষ্ট্রের ঘাড়ে ফ্যাসিবাদ চেপে বসতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

রোববার রাতে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে নাগরিক সমাজের ঐক্যের সম্মিলন-সংস্কার, জাতীয় ঐক্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বক্তারা এমন অভিমত তুলে ধরেন। বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া এই সংলাপ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।

সংলাপে কক্সবাজার জেলার স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা-সংকট তুলে ধরেন বক্তারা। প্রবীণ শিক্ষক নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপ সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।

সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি জি এম আশেক উল্লাহ, শহর জামায়াতের আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, আইনজীবী রমিজ আহমেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন, পর্যটন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মঈনুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি শাহেদুল ওয়াহিদ, সাগর-উল ইসলাম, জিনিয়া শারমিন, তাশদিদ রেজা ও রিয়াদ মনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী আন্দোলনের কক্সবাজারের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নারীনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী সাকি এ কাউসার, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তামান্না নওরিন, ছাত্রদল নেতা মিজানুল আলম প্রমুখ।

প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার পাশাপাশি আর যেন কোনোভাবেই রাষ্ট্রের ঘাড়ে ফ্যাসিবাদ চেপে বসতে না পারে, এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তা ছাড়া চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, নতুন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বকারী নাগরিক প্রতিনিধিদের ভাবনাকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। প্যানেল আলোচকদের উত্থাপিত প্রস্তাবনা ও ভাবনাগুলো লিখিত আকারে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ল আল পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

আনিসুল-সালমান-মামুন রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ পাঁচ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড এবং গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড ও গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য ২৯ এপ্রিল ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।

ভাটারা থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানের পাঁচ দিন, বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের তিন দিন এবং যাত্রাবাড়ীতে মো. রাসেল হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করেননি।

শুনানি শেষে আদালত সালমান এফ রহমানের তিন দিন, আনিসুর হকের দুই দিন এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

এদিকে, আদালত সূত্রে জানা গেছে, কদমতলী থানার এক মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

যাত্রাবাড়ী থানার চার মামলায় সালমান এফ রহমানকে, একই থানার ছয় মামলায় আনিসুল হককর, যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় মামুনকে, বাড্ডা থানার এক মামলায় আতিকুল ইসলাম ও নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে নিয়াজ মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না হওয়ায় তার বিষয়ে শুনানি হয়নি।

এর আগেও কয়েক দফা তাদের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

ঢাকা/এম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
  • মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
  • চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, রোববার ফের শুনানি
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার
  • শারীরিক শাস্তি শিশুর বিকাশে বড় বাধা, বিলোপ জরুরি
  • ‘ভারতকে থামান’, জাতিসংঘকে শাহবাজ শরিফ
  • আনিসুল-সালমান-মামুন রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিক
  • রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছাড়া প্রক্সি ভোট বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়: সিইসি