শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের যুব, শিক্ষা ও উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ দূত জুরিয়ান মিডেলহফ।                                

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ করা, শ্রম অসন্তোষ নিরসন, শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়ন, শ্রম সংস্কার, যুবকদের প্রশিক্ষণ এবং তৈরী পোশাক খাতের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কর্মসংস্থান অধিদপ্তর নামে নতুন একটি অধিদপ্তর সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রম সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের সব (প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক) শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।” 

তিনি বলেন, “শ্রমঘন এলাকায় অস্থিরতা নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, টুরিস্ট পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং মালিকপক্ষ একযোগে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী এবং অংশীজনদের বাস্তবসম্মত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সব পক্ষের মতামত অনুযায়ী শ্রম আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স থিজস ওয়াউডস্ট্রা, অর্থনীতি ও বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি সারা ভ্যান হোভ, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এরিক প্যারিগার।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ