নোয়াখালীর সেনবাগ থানার গোলঘরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে সালিস বৈঠকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেনবাগ থানা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আবু তালেবের সাথে তার চাচাতো ভাইদের পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার সেনবাগ থানা গোলঘরে সালিসি বৈঠকে বসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার একজন কর্মকর্তা। বৈঠকে ‍উভয়পক্ষের সালিসদারেরাও উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠক চলাকালে বিবাদমান দুইপক্ষ বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে একপক্ষ অপরপক্ষের সাথে হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তারা থানার গোলাঘরের কাঁচ ভাঙচুর করেন। 

পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল ফারুক বলেন, “বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে থানার গোলঘরে সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। বৈঠকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাক্কা দেয়। এতে গোলঘরের কাঁচ ভেঙে যায়।”

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

সেনবাগ থানার ওসি এসএম মিজানুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক ৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ গ লঘর এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ