প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা ১০০ নম্বরে
Published: 20th, October 2025 GMT
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা: সময় কম, প্রস্তুতি হবে কীভাবে৪ ঘণ্টা আগেআবেদনে যোগ্যতা ও বেতন গ্রেডবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রার্থীদের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক অথবা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেউ চাকরি পেলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বেতনস্কেল ১২৫০০–৩০২৩০ টাকা এবং প্রশিক্ষণবিহীনদের বেতনস্কেল ১১৩০০–২৭২৩০ টাকা।
আরও পড়ুনবিমানবাহিনীতে বেসামরিক পদে বিশাল নিয়োগ, পদ ৩০৮১ ঘণ্টা আগেপরীক্ষার পদ্ধতিপ্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৯০ নম্বরের হবে লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) থেকে প্রশ্ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে হলে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুনসাইনবোর্ডে ‘কলেজ’, লেখাপড়া নেই ২৯ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নিহত ছাত্রদল নেতার বাড়িতে শোক, লাশের জন্য অপেক্ষা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন খুনের ঘটনার পর কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোক। লাশ আনার জন্য রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন তাঁর বাবাসহ স্বজনেরা। পরিবারের সদস্যদের আশা, লাশটি আনা গেলে আজ সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
গতকাল রোববার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন১৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি, প্রেমের কারণে খুন সন্দেহ পুলিশের২ ঘণ্টা আগেহোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে জোবায়েদের বাড়িতে আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, খুনের ঘটনায় এলাকাবাসীসহ পরিবারের সদস্যরা শোকে মুহ্যমান। তাঁরা অনেকেই বাড়িটিতে ভিড় করেছেন। গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকিং করে জোবায়েদের নিহত হওয়ার কথা জানানো হচ্ছে। ওই সময় বসতবাড়িতে আহাজারি করছিলেন চার স্বজন। তাঁরা চেয়ারে বসে জোবায়েদের স্মৃতিচারণা করছিলেন। জোবায়েদের চাচা খান সাব মিয়ার বসতঘরের এক কক্ষে বসে কান্না করছিলেন ফুফু নাছিমা আক্তার, চাচি জাহেদা আক্তার ও চাচাতো বোন সুমাইয়া আক্তার।
জোবায়েদের ফুফু নাছিমা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাঁর বড় ভাই মোবারক হোসেনের চার ছেলের মধ্যে জোবায়েদ ছিলেন দ্বিতীয়। জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তৃতীয় ভাই সাইমন হোসেন ঢাকার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে, চতুর্থ ভাই মুশফিকুর রহমান নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। জুবায়েদ হাসান মেধাবী ও ভালো চরিত্রের ছেলে ছিলেন। তাঁর চার চাচা, পাঁচ ফুফুর পরিবারের সদস্যদের বাইরেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। এসব কথা যখন তিনি বলছিলেন, জোবায়েদের মা মাফিয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
জোবায়েদের বাড়িতে আজ সকালে