ড্যাপ সংশোধনে রিহ্যাবের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
Published: 5th, February 2025 GMT
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ সংশোধন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করলে আবাসন খাতের সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব। তবে কী ধরনের আন্দোলনে যাবেন সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেননি তারা। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন রিহ্যাব নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাব সভাপতি মো.
তিনি বলেন, ড্যাপ আইন প্রণয়নের পর রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ড্যাপ ও নির্মাণ বিধিমালা নিয়ে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা ইমারত বিধিমালা বাস্তবায়ন করা না হলে, জমির মালিকসহ অংশীজনদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
নতুন ড্যাপের কারণে ঢাকা মহানগরের ৮০ শতাংশ অপরিকল্পিত থেকে যাবে এমন মন্তব্য করে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, জনসংখ্যাবহুল এ দেশে কোনোভাবেই ভবনের উচ্চতা কমানো কাম্য নয়। উচ্চতা কমে যাওয়ার কারণে শহর একটা মরণফাঁদে পরিণত হতে যাচ্ছে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বহু মানুষের মানুষের প্রাণহানি হবে। উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবেন না।
এই বৈষম্যমূলক ড্যাপের জন্য কিছু পরিকল্পনাবিদ নিজেদের স্বার্থ হাসিলে মায়াকান্না করছেন এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই ক্ষোভ জানাচ্ছেন জমির মালিকেরা। ড্যাপ সংশোধনের জন্য রিহ্যাব সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসংখ্যবার সভা করেছে। নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আবাসন ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
শহরকে বিস্তৃত করার পরামর্শ দিয়ে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, অবকাঠামোতগত সুবিধাগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। তাতে শহরের পরিধি বাড়বে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”
বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”
অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”
অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।
ঢাকা/লিমন/ইভা