সরকারের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে: হানিফ
Published: 5th, February 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই বাংলাদেশে আমরা এখনো দেখছি, যারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, যারা আমাদের ভাইরের ওপরে গুলি চালিয়েছিল তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের ছয় মাস হয়ে গেছে, আপনাদের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। অর্থের বিনিময়ে বিএনপি ও প্রশাসনের কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। আমরা স্পষ্ট বলছি, গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আবু হানিফ বলেন, “যারা পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিকে ব্যবহার করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্ররা-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছিল, সেসব গণহত্যাকারীদের বিচার না করতে পারলে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। আপনাদেরকে বলছি, অনতিবিলম্বে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনুন।”
তিনি আরো বলেন, “শেখ হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয়, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আকন্দ মোহাম্মদ উজ্জ্বল, যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী, কটিয়াদি উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতা মহসিন, যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা পায়েল চৌধুরী।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গলাচিপা ও দশমিনায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত
পটুয়াখালী গলাচিপা ও দশমিনায় বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ১৪৪ ধারার আদেশ অব্যাহত রয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (১৫ জুন) সকাল আটটা পর্যন্ত গলাচিপা পৌর শহর ও আশপাশের এলাকা এবং দশমিনার সদর ইউনিয়ন ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
শুক্রবার এ দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা এ আদেশ জারি করেন এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে তা জনসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ আদেশ চলাকালীন সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র বহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া একসঙ্গে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাচল সম্পূর্ন নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত দশটায় গলাচিপার পাতাবুনিয়া গ্রামে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এবং রাত আটটার দিকে চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, “যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুই উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্য রয়েছে। দুই পক্ষকে আমরা শান্তিপূর্ন অবস্থানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। তবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/ইমরান/এস