গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেছেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন করেছে তারা। ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ হত্যা করে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ মে শাপলা চত্ত্বরে অসংখ্য আলেমকে তাদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “যে দলের নেতৃত্বে এদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো হয় সেই সন্ত্রাসী দলের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এ কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।”

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনারে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণহত্যার জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক শরিফা হকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে জাবেদ আবছার গ্রেপ্তার

যশোরে আ.

লীগ-ছাত্রলীগের ২ কর্মী আটক

শাকিল উজ্জামান বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অসংখ্য লুটপাট হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে তারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এই সব লুটপাটের বিচার করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার এসিল্যান্ড অবৈধভাবে আস্তর বালুকে বিট বালু বলে বিক্রি করেছেন। ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এসিল্যান্ড কিভাবে ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে? এটা তদন্ত হওয়া দরকার। কার কাছে এসিল্যান্ড কম দামে এই বালু বিক্রি করছেন?”

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির দুর্নীতি ও মাদক নিয়ন্ত্রক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাসেল, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সিয়াম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’
  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর