আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে: শাকিল উজ্জামান
Published: 5th, February 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেছেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন করেছে তারা। ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ হত্যা করে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ মে শাপলা চত্ত্বরে অসংখ্য আলেমকে তাদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যে দলের নেতৃত্বে এদেশের মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো হয় সেই সন্ত্রাসী দলের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এ কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।”
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনারে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণহত্যার জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক শরিফা হকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে জাবেদ আবছার গ্রেপ্তার
যশোরে আ.
শাকিল উজ্জামান বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অসংখ্য লুটপাট হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে তারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এই সব লুটপাটের বিচার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার এসিল্যান্ড অবৈধভাবে আস্তর বালুকে বিট বালু বলে বিক্রি করেছেন। ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এসিল্যান্ড কিভাবে ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে? এটা তদন্ত হওয়া দরকার। কার কাছে এসিল্যান্ড কম দামে এই বালু বিক্রি করছেন?”
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির দুর্নীতি ও মাদক নিয়ন্ত্রক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাসেল, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সিয়াম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা রুখে দেওয়া হবে: মামুনুল হক
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআন-সুন্নাহবিরোধী প্রতিবেদনসহ কমিশন বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ সব হত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে ৩ মে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশের জন্য প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। হেফাজত নেতাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ইসলাম বিরোধী সব প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব প্রস্তবনা রুখে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে মাখজুনুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেন, “নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে তা দেশের পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের টার্গেটে করা হয়েছে। ইসলাম বিরোধী এসব প্রস্তাবনা যেকোন মূল্যে রুখে দেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ ৫ দাবি, হেফাজতের মহাসমাবেশ ৩ মে
শহীদের রক্তের দায় ক্ষমা করা যায় না: ইউনুস আহমাদ
হেফাজতের নেতাদের নামে দায়ের করা মামলা এখনো প্রত্যাহার না করার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “চার মাস আগে মামলার তালিকা আইন উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সাথেও এ বিষয়ে দেখা করে দাবি জানানো হয়েছে। তারপরও এখনো মামলা প্রত্যাহার না করা দুঃখজনক।”
মামলা না তোলায় হেফাজত নেতাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, “৩ মে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ সফলে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্মমহাচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন মুফতি বশিরুল্লাহ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার মাৌওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মজিবুর রহমান, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতি মজিবুর রহমান চাটগামী, ড. শোয়াইব আহমদ, মুফতি ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা রাশেদ বিন নুর, মাওলানা কবি মুহিব খান, মুফতি শরীফ উল্লাহ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতি আব্দুল মালেক প্রমুখ।
এদিকে মহাসমাবেশ সফল করতে মাদরাসায় বাস্তবায়ন কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতের মহাসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা রাশেদ বিন নুর, মাওলানা আফসার মাহমুদ প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ