বন্দরে গণমাধ্যমকর্মীর আরগাড়া ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার মামলা নেয়নি পুলিশ
Published: 5th, February 2025 GMT
বন্দরে গনমাধ্যমকর্মী মাসুম বিল্লাহ পৈত্রিক সম্পত্তী স্থাপনকৃত আরগারা ভেঙ্গে ও সিমেন্টের খাম লুট করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। বুধবার লৌমহর্ষক ঘটনার ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ গনমাধ্যমকর্মী মামলা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছে।
এদিকে পুলিশ গনমাধ্যমকর্মী মামলা না নিয়ে উল্টো তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার কারনে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও তার ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে গনমাধ্যমকর্মী মাসুম বিল্লাহ আরো জানান, দেশে এখন কোন রাজনৈতিক সরকার নেই অথচ তারপরও আমরা আইনের সহযোগিতা পাচ্ছি না।
মীরকুন্ডী এলাকার মোক্তার মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারের কুরামর্শে কুশিয়ারা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মুন্না ও লম্বাদরদী এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী রাতের আধারে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আরগাড়া ও সিমেন্টের খাম লুট করে নিয়ে গেল অথচ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করছে।
প্রশাসনের গুরুত্ব না থাকায় ভূমিদৎসুরা আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ মহলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নইলে এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাবো।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে গনমাধ্যমকর্মী স্ত্রী আরো জানান, বন্দর উপজেলা লম্বাদরদী এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে গণমাধ্যম কর্মী মাসুম বিল্লাহ পৈত্রিক সম্পত্তির মোট ১৯ শতাংশের মধ্যে ০৩ শতাংশ জায়গার ভোগদখলে আছে। সে সাথে তার ৬ ভাইয়ের মধ্যে ৪ ভাইয়ের ২.
এর সূত্রধরে মীরকুন্ডী এলাকার মোক্তার মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারের কুরামর্শে কুশিয়ারা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মুন্না ও লম্বাদরদী এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে সোহেল বাবু গনমাধ্যম কর্মী মাসুম বিল্লাহ নিকট থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করে।
বিবাদী গণমাধ্যম কর্মী পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে ব্যার্থ হয়ে বিবাদী মুন্না ও সোহেল বাবু উল্লেখিত সাংবাদিকের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় প্রতিপক্ষ শারমিন বেগমের হুকুমে সন্ত্রাসী হাসেম, সজিব, মুন্না ও সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গণমাধ্যম কর্মী পৈত্রিক সম্পত্তিতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে আড়গাড়া ভেঙ্গে ও ১৬টি সিমেন্টের খাম পিকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ম
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান
জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।
এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।