ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে গঠিত পরামর্শদান কমিটি এবং নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও অংশীজনদের ধারাবাহিক মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের পরামর্শদান কমিটির সঙ্গে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন বিষয়ক কমিটির সঙ্গে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অংশীজনের পৃথক দু’টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (৪ ফ্রেব্রুয়ারি) থেকে আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন বিষয়ক কমিটির সঙ্গে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ধারাবাহিক এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।

পরামর্শদান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.

সায়মা হক বিদিশার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ নেন। 

সভায় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শরীফ উল্লাহ ভূঁইয়া এবং কমিটির সদস্য কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে পৃথক মতবিনিময় সভায় ডাকসুর সাবেক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ নেন। 

সভায় কমিটির সদস্য আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আচরণবিধি প্রণয়ন/সংশোধন বিষয়ক কমিটির আরও দু’টি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পরামর্শদান কমিটির একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলেছে দলটি।

আজ শুক্রবার রাতে এনসিপির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।

এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি।

নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে—এ কথা উল্লেখ করে এনসিপি আরও বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন–আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।

জনগণের দাবি তথা জুলাই সনদ রচনা ও কার্যকর করার আগে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনসিপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুম বিষয়ে আইন হচ্ছে, আইনের আওতায় কমিশন গঠনের পরিকল্পনা: আইন উপদেষ্টা
  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার যেভাবে হলে ভালো হয়
  • জাফলংসহ দেশের পর্যটন উন্নয়নে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
  • পরিবেশবান্ধব পর্যটনে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
  • লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি