সাভারে আ. লীগ নেতার বাড়ি ভাঙতে আসা জনতাকে এলাকাবাসীর বাধা
Published: 7th, February 2025 GMT
ঢাকার সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও তার ছোটো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলম সমরের পৈতৃক বাসভবন ‘রাজ মঞ্জুরি’তে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দিয়ে হটিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, হামলা করে আগুন দিলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কা থেকেই বাধা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের একদল ছাত্র-জনতা ‘মার্চ টু মঞ্জুরি’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর বিকেলে সাভারের পাকিজা মোড়ে তারা জড়ো হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা হেমায়েতপুরের রাজিব-সমরের পৈতৃক বাসভবন রাজ মঞ্জুরির সামনে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজ মঞ্জুরির সামনে এসে হ্যান্ডমাইকে দেশ থেকে সকল স্বৈরাচার বিতারণ ও স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ‘শহীদদের অবদান বৃথা যেতে দেওয়া হবে না’ স্লোগান দেন তারা। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতা রাজ মঞ্জুরির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জানলার কাচ ভাঙচুর করেন এবং ভবনের বাইরে একটি অংশে আগুন দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তখন স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন।
এ সময় উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে স্থানীয় আরো প্রায় শতাধিক লোক জড়ো হন। তারা ভাঙচুর করতে আসা ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন।
মিজানুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘কিছু লোক ওই বাড়িতে আগুন দিতে আসে। বাড়িটিতে আগুন দিলে তা আশপাশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা এটি হতে দেব না, তাই তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’’
হামলায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। তবে রাজিবের আত্মীয়স্বজন ও পেটুয়া বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ নিজেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।’’
গেল বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও তার ছোটো ভাই ফখরুল আলম সমর। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার ওপর হামলার একাধিক মামলা রয়েছে।
তারা//
তারা//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র জনত র ল আলম
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ
জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।
আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।
তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।
বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা