নাজিরপুরে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বাড়িতে ভাঙচুর
Published: 7th, February 2025 GMT
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বাসভবনে ভাঙচুর করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। এ সময় তারা নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন খান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে।
বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা মিছিল দিয়ে এসে নাজিরপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে নাজিরপুর আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর করে এবং অগ্নিসংযোগ করে। পরে পিরোজপুর থেকে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা নাজিরপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বাসভবনে ভাঙচুর করে। এ সময় তার বাসভবনে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় তারা নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খানের বাসভবন ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু বাসভবন ভাংচুর করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব ক উপজ ল র ব সভবন কর ম র চ র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, বাবা থানায় আটকা ২৬ ঘণ্টা
ছেলে বিরুদ্ধে হুন্ডির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভ্যানচালক বাবাকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় ভ্যানচালক ফজলু প্রামাণিককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। আজ সোমবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার গারোদখানায় রয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার খোকসা থানায়। ফজলু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আটক করে থানায় আনেন এসআই তুষার।
ভ্যানচালক ফজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন এসআই তুষার। তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধের বিরুদ্ধে গোপন অভিযোগ আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটকে রাখা হয়েছে।’ তবে কী অভিযোগে আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ফাউ কথা না বলে, জায়গায় কথা বলতে বলেন।’
ভ্যানচালকের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গাফ্ফার টোকন নামে এক ব্যক্তি হুন্ডির ব্যবসা করেন। নূর এন্টার প্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হুন্ডির ব্যবসা করেন। আমার ছেলে সজল ওই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি গাফ্ফারের কাছে বকেয়া বেতন দাবি করায় ছেলের সর্বনাশ হয়েছে। প্রথমে সজলের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন গাফ্ফার। এ টাকা জন্য জমি লিখে দেওয়ার চাপ দেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই মাস আগে তার ছেলের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন গাফ্ফার। অভিযোগ মিটিয়ে ফেলার জন্য থানা-পুলিশ সজলের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলে আত্মগোপন করায় রোববার সন্ধ্যায় এসআই তুষার আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেন। এর পর থেকে তিনি থানার গারদে রয়েছেন।’
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সারাদিন জেলা সদরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।’