ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের আজ দ্বিতীয় দিন। গতকাল ছিল রোজ ডে। অর্থাৎ প্রিয়জনকে গোলাপ উপহার দেওয়ার দিন। যারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি তারা কিন্তু আজ সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারেন। প্রিয়জনকে আপনার ভালোবাসার কথা জানানোর কৌশলটি আপনিই ভালো জানেন। তারপরেও আমরা আপনাকে কয়েকটি কৌশল জানিয়ে দিচ্ছি।
প্রথম দেখার স্মৃতি মনে করিয়ে দিন: যাকে ভালোবাসার কথা বলতে চান, তার সঙ্গে নিশ্চয় এর আগে কোথাও দেখা হয়েছে?— যে জায়গায় আপনাদের প্রথম দেখা হয়েছিলো সেখানে তাকে নিয়ে যেতে পারেন। কথায় কথায় প্রথম দিন আপনাদের কী কথা হয়েছিলো এবং সেই দিনের অনুভূতি সঙ্গীকে জানান। এরপর হঠাৎ করে তার প্রতি আপনার ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। একটি আংটি কিংবা ফুল দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারেন।
আরো পড়ুন:
সে কি প্রকৃত বন্ধু?
হোটেল রুমে লুকানো ক্যামেরা খোঁজার উপায়
ক্যান্ডেল লাইট ডিনার বা রুফটপ রেষ্টুরেন্টে ডিনার: আজকাল রেস্টুরেন্ট সংস্কৃতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সুন্দর কোনো রেষ্টুরেন্টে একটি ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারেন। এরপর সঙ্গীকে আপনার মনের কথা জানিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া, রেষ্টুরেন্টের কোনো স্পেশাল ডেজার্ট অথবা পিজ্জার ওপর আপনার মনের কথা লিখে অবাক করে দিতে পারেন প্রিয়জনকে।
কোথাও ট্যুরে যেতে পারেন: প্রিয়জন যদি বন্ধু সার্কেলের কেউ হয় তাহলে বন্ধুবান্ধব সহ তাকে নিয়ে চলে যান শহরের আশেপাশে কোনো পিকনিক স্পটে। সবার সামনেই তাকে সেখানে প্রপোজ করতে পারেন। বন্ধুদের সহযোগিতায় জায়গাটি সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার ভালোবাসাও প্রকাশ করা হবে, আবার ডে-ট্যুরও হয়ে যাবে।
চিঠি লিখে প্রেমের প্রস্তাব: হাতে লেখা প্রেমপত্র একটি হারিয়ে যাওয়া শিল্প। চিঠি পাওয়ার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ আছে। আর চিঠি লিখতে গেলে মনের কথা গুছিয়ে লেখা যায়। প্রিয়জনকে উদ্দেশ্য করে লিখে ফেলতে পারেন মনের কথা।
ছবি তোলার মাধ্যমে: প্রিয়জনের প্রিয় জায়গার খোঁজ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে দুজনে সেখানেই চলে যান। একসঙ্গে ছবি তুলুন। আর ছবি তোলার সময় প্রিয়জনকে প্রোপজ করতে পারেন। ছবিতে থেকে যাবে সেই মহামূল্যবান স্মৃতি।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’