মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে মস্তিষ্কে কী ঘটে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
Published: 8th, February 2025 GMT
মৃত্যু মানুষের জীবনের চিরন্তন এক সত্য। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে মানুষের শরীরে কী কী পরিবর্তন হয়, তা জানতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব লুইসভিল, কেন্টাকির একদল স্নায়ুবিজ্ঞানী মৃত্যুর সময় মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ প্রথমবারের মতো ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে মানুষের মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে মস্তিষ্কে কী ঘটে, তা নিয়ে কিছু তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মৃত্যুর আগমুহূর্তে মস্তিষ্কে পুরো জীবনের নানা দৃশ্য সিনেমার ট্রেলারের মতো একঝলক দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ৮৭ বছর বয়সী এক মৃগীরোগী চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে অর্থাৎ হৃদ্যন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ হওয়ার আগে ও পরের ৩০ সেকেন্ডের মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য চিকিৎসকেরা তাঁর মাথায় ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) যন্ত্র যুক্ত করেন। এ সময় মোট ৯০০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের তরঙ্গের দৈর্ঘ্য ধারণ করা হয়। মস্তিষ্কের তরঙ্গের রেকর্ড থেকে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের স্মৃতি ও স্মৃতি পুনরুদ্ধারের সঙ্গে জড়িত ক্ষেত্রসমূহ মৃত্যুর কিছু পরে সক্রিয় ছিল।
মৃত্যুর ঠিক আগে ধারণ করা মস্তিষ্কের তরঙ্গের দৈর্ঘ্য.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।