মৃত্যু মানুষের জীবনের চিরন্তন এক সত্য। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে মানুষের শরীরে কী কী পরিবর্তন হয়, তা জানতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব লুইসভিল, কেন্টাকির একদল স্নায়ুবিজ্ঞানী মৃত্যুর সময় মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ প্রথমবারের মতো ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে মানুষের মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে মস্তিষ্কে কী ঘটে, তা নিয়ে কিছু তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মৃত্যুর আগমুহূর্তে মস্তিষ্কে পুরো জীবনের নানা দৃশ্য সিনেমার ট্রেলারের মতো একঝলক দেখা যায়।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ৮৭ বছর বয়সী এক মৃগীরোগী চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে অর্থাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ হওয়ার আগে ও পরের ৩০ সেকেন্ডের মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য চিকিৎসকেরা তাঁর মাথায় ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) যন্ত্র যুক্ত করেন। এ সময় মোট ৯০০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের তরঙ্গের দৈর্ঘ্য ধারণ করা হয়। মস্তিষ্কের তরঙ্গের রেকর্ড থেকে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের স্মৃতি ও স্মৃতি পুনরুদ্ধারের সঙ্গে জড়িত ক্ষেত্রসমূহ মৃত্যুর কিছু পরে সক্রিয় ছিল।

মৃত্যুর ঠিক আগে ধারণ করা মস্তিষ্কের তরঙ্গের দৈর্ঘ্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। 

জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।

ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।

মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ