ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রধান হাতিয়ার মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আওয়ামী লীগ পার্শ্ববর্তী দেশের সাম্রাজ্যবাদী থাবার মাধ্যমে তারা আবারও ক্ষমতা আসতে চায়।

আমরা বলে দিতে চাই কোন অপশক্তি সাম্রাজ্যবাদীর কাছে বাংলাদেশের জনগণ মাথা নত করে নাই। আর ভবিষ্যৎও করবে না। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে।

গত জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই ছাত্র জনতা আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ রক্ত দিয়েছে। তারা আর রক্তের সাথে বেঈমানি করবে না।  শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ভারত। 

বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল এগারোটায় বন্দর ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বন্দর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌরসভা হয়ে কবিলের মোড় দিয়ে ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ রেললাইন হয়ে নবীগঞ্জ বাজার দিয়ে কাইতাখালী হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দেউলী চৌরাপাড়া এসিআই গেইটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের পক্ষে না থেকে একটি স্বৈরশাসকের পক্ষ নিয়েছে। আমরা ভারতকে বলে দিতে চাই এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য আপনাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে থাকতে হবে। কোন স্বৈরাচারীর পক্ষে আপনারা দিক নির্দেশক হিসেবে পরিচালিত হবেন না। 

সাখাওয়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আজকে ভারত চাচ্ছে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিভিন্ন ধরনের অকারেন্স করে তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপাতে।

শুধু তাই নয় অন্তবতী সরকারকে তারা বিভিন্নভাবে বদনাম করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা কুচুক্তি মহলের কোন হঠকারী সিদ্ধান্তের ফাঁদে পা দিব না। আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী যেন আবারও মাথাচাড়ান দিয়ে না উঠতে পারে। তার জন্য পাড়া মহল্লায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদেরকে সজাগ থাকতে হবে। 

বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ্ আহম্মদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ আলী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ষড়যন ত র র ন ত কর ম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ