আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী অ্যান্ড্রু গুয়েনকে (৫০) বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এ ঘোষণা দেন।

অ্যান্ড্রু গুয়েনের বিরুদ্ধে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বর্ণবাদী ও যৌন উত্তেজক বার্তা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রুপে একটি বার্তায় লিখেছেন, তিনি আশা করেছিলেন তাকে ভোট না দেওয়া একজন পেনশনভোগী নারী আগামী নির্বাচনের আগেই মারা যাবেন। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদীবিদ্বেষ ও উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনা রায়নারকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত রোবার যুক্তরাজ্যের দ্য মেইল পত্রিকা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যান্ড্রু গুয়েনের দেওয়া বার্তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই শনিবার তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর বার্তা দেওয়ার অপরাধে ক্ষমা চেয়েছেন অ্যান্ড্রু গুয়েন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ