চুয়াডাঙ্গায় দাঁড়ানো ট্রাক্টরে ধাক্কা, মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণের মৃত্যু
Published: 9th, February 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরোনো বাস্তপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণেরা হলেন পুরোনো বাস্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামে ছেলে নাহিদ হোসেন (১৯) ও একই গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে সুইট হোসেন (২৫)। থানায় লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাক্টরটি জব্দ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে একটি মোটরসাইকেলযোগে নাহিদ ও সুইট বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেলটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনই নিহত হন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। স্বজনদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা