কোটালীপাড়ায় খালে মাছ ধরতে গিয়ে জেলে নিখোঁজ
Published: 9th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় মাছ শিকার করতে গিয়ে বিপুল মন্ডল (৪৩) নামে এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে। ওই জেলেকে খুঁজে পেতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে মাদারীপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের গচাপাড়া খালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
কোটালীপাড়া থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো.
বিপুল মন্ডল কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ গচাপাড়া গ্রামের মতিলাল মন্ডলের ছেলে।
কোটালীপাড়া থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল শনিবার রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের গচাপাড়া গ্রামের একটি খালে মাছ শিকার করতে যায় জেলে বিপুল মন্ডল। এরপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। খালে তাকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। পরে ওই স্থান থেকে অনেক দূরে গিয়ে তার নৌকায় ভেজা কাপড় ও বন্ধ মোবাইলসহ টর্চ লাইট দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে মাছ শিকার করতে গিয়ে তিনি নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মাদারীপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত ওই জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুর ফায়ার স্টেশনের লিডার লিয়াকত হোসেন বলেন, “বিপুল মন্ডল নামে এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে পাঁচ সদস্যের একটি দল কোটালীপাড়ায় আসি। এরপর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করি। তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা সন্ধান পাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”
ঢাকা/বাদল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’