খেলাধুলার মাধ্যমে উরুগুয়েকে সেতুবন্ধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
Published: 9th, February 2025 GMT
উরুগুয়েকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সেতুবন্ধ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশে নিযুক্ত উরুগুয়ের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত আলবার্তো এ গুয়ানি গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
রাষ্ট্রদূত গুয়ানি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, উরুগুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুই দেশের জন্য অভূতপূর্ব সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসায় বিশ্বে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকাটা প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশের ক্রীড়া বিশেষ করে ফুটবলের জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ড.
বৈঠকে এসডিজিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
‘জুলাই অভ্যুত্থান-২০২৪’-এর স্মৃতি ধরে রাখতে দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম, পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। রোববার সন্ধ্যায় যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ডাকটিকিটের থিম হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করতে নারীরা যে ভূমিকা রেখেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে ডাকটিকিটটিতে।
এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কয়েক শহীদ পরিবার গতকাল যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন, আহত ও শহীদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে শহীদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শোনেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স জ ল ই গণঅভ য ত থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী