বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের উৎসব। 

সম্প্রতি এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন। আয়োজিত এ উৎসবে পিঠা উৎসব, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং গ্রাফিতি প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন ছিল। বিকালে তরুণদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল।

প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তারা, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.

দিপু সিদ্দিকী, হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম বিভাগের চেয়ারপারসন সহযোগী অধ্যাপক মলয় সরকার, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের চেয়ারম্যান মুরাদ হাসান, নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনাবিষয়ক আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক সোলায়মান হোসেন, লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীমা সিদ্দীকা, প্রভাষক আরশাদুল ইসলামসহ অনেকে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন বলেন, “রয়েল বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করছে। বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন, “তরুণরাই সমাজ পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি। মানসম্মত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।”

উৎসবের কনভেনার প্রফেসর ড. মুজাক্কিরুল হুদা বলেন, “তারুণ্যের সৃজনশীলতা বিকাশে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

উদ্বোধনী বক্তব্যের পর উপাচার্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস’ বিষয়ক গ্রাফিতি এক্সিবিশনের উদ্বোধন করেন, যেখানে দুই শতাধিক গ্রাফিতি স্থান পায়। গ্রাফিতি এক্সিবিশনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সৃজনশীলতার ভাষায় প্রতিবাদ ও স্বপ্ন’ রয়েল ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তোলা ছবি এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড. সবুজ আহমেদ (প্রিন্সিপাল, দ্য নিউ স্কুল ঢাকা), আলতাফ উদ্দীন আহমেদ, চিফ ইন্সট্রাকটর (এন আই পি), অধ্যাপক মুরাদ হাসান (চেয়ারম্যান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ), মো. আলমগীর মিয়া (সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন), মো. মিজানুর রহমান (কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশন)।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।

সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’

হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’

কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।

এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
  • খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ