বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব
Published: 10th, February 2025 GMT
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের উৎসব।
সম্প্রতি এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন। আয়োজিত এ উৎসবে পিঠা উৎসব, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং গ্রাফিতি প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন ছিল। বিকালে তরুণদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল।
প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তারা, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন বলেন, “রয়েল বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা তুলনামূলকভাবে কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করছে। বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন, “তরুণরাই সমাজ পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি। মানসম্মত শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।”
উৎসবের কনভেনার প্রফেসর ড. মুজাক্কিরুল হুদা বলেন, “তারুণ্যের সৃজনশীলতা বিকাশে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
উদ্বোধনী বক্তব্যের পর উপাচার্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস’ বিষয়ক গ্রাফিতি এক্সিবিশনের উদ্বোধন করেন, যেখানে দুই শতাধিক গ্রাফিতি স্থান পায়। গ্রাফিতি এক্সিবিশনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সৃজনশীলতার ভাষায় প্রতিবাদ ও স্বপ্ন’ রয়েল ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তোলা ছবি এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড. সবুজ আহমেদ (প্রিন্সিপাল, দ্য নিউ স্কুল ঢাকা), আলতাফ উদ্দীন আহমেদ, চিফ ইন্সট্রাকটর (এন আই পি), অধ্যাপক মুরাদ হাসান (চেয়ারম্যান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ), মো. আলমগীর মিয়া (সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন), মো. মিজানুর রহমান (কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশন)।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।