দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখাসহ নানা দাবিতে সারাদেশে সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট দিনে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আজ সোমবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোথায় বক্তব্য দেবেন, তার তালিকা প্রকাশ করেছে।

১২ ফেব্রুয়ারি

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (লালমনিরহাট), নজরুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ), সালাহ উদ্দিন আহমেদ (ফেনী), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (খুলনা), ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আসাদুজ্জামান রিপন (রাজবাড়ী), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (পটুয়াখালী), আরিফুল হক চৌধুরী (সুনামগঞ্জ), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল (জামালপুর)।

১৭ ফেব্রুয়ারি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (যশোর), স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান (টাঙ্গাইল), সেলিমা রহমান (মাদারীপুর), আবদুল আউয়াল মিন্টু (চাঁদপুর), শামসুজ্জামান দুদু (ঠাকুরগাঁও), আবদুস সালাম (বগুড়া), আরিফুল হক চৌধুরী (মৌলভীবাজার), জহির উদ্দিন স্বপন (ভোলা)।

১৮ ফেব্রুয়ারি

স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ (কক্সবাজার), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (পাবনা), শামসুজ্জামান দুদু (পঞ্চগড়), জয়নুল আবেদিন ফারুক (কুমিল্লা দক্ষিণ), আবুল খায়ের ভুঁইয়া (ঝিনাইদহ), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (মানিকগঞ্জ), যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী (হবিগঞ্জ), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (নেত্রকোনা)।

১৯ ফেব্রুয়ারি

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (নোয়াখালী), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (সিলেট), দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জ), মিজানুর রহমান মিনু (কুষ্টিয়া), ফরহাদ হালিম ডোনার (শরীয়তপুর), মজিবুর রহমান সারোয়ার (পিরোজপুর), রুহুল কবির রিজভী (রাজশাহী)।

২০ ফেব্রুয়ারি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঢাকা), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সেলিমা রহমান (বরিশাল দক্ষিণ), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ময়মনসিংহ দক্ষিণ), আসাদুজ্জামান রিপন (ফরিদপুর), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান (চুয়াডাঙ্গা), মিজানুর রহমান মিনু (নওগাঁ), আবদুস সালাম (কুড়িগ্রাম)।

২২ ফেব্রুয়ারি

জয়নাল আবেদীন (ঝালকাঠি), আহমেদ আজম খান (চট্টগ্রাম দক্ষিণ), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (ময়মনসিংহ উত্তর), হারুনুর রশীদ (জয়পুহাট), মাহবুব উদ্দিন খোকন (কুমিল্লা উত্তর), আসলাম চৌধুরী (বান্দরবান), আবুল খায়ের ভুঁইয়া (রংপুর), যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ (নরসিংদী)।

২৪ ফেব্রুয়ারি

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন (মুন্সিগঞ্জ), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বরিশাল উত্তর), ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী (নড়াইল), আহমেদ আজম খান (নাটোর), হারুনুর রশীদ (গাইবান্ধা), হাবিব উন নবী খান সোহেল (রাঙ্গামাটি), আবদুস সালাম আজাদ (মাগুরা), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (সৈয়দপুর)।

২৫ ফেব্রুয়ারি

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (নারায়ণগঞ্জ), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (গাজীপুর), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (চট্টগ্রাম উত্তর), বরকত উল্লাহ বুলু (বাগেরহাট), নিতাই রায়ে চৌধুরী (সাতক্ষীরা), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (দিনাজপুর), আমান উল্লাহ আমান (মেহেরপুর), জয়নুল আবদিন ফারুক (নীলফামারী), মনিরুল হক চৌধুরী (খাগড়াছড়ি), আবদুস সালাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ আবদ স স ল ম র রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ