ছুটিকালীন ভাতা শতভাগের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 13th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছুটিকালীন ভাতা শতভাগ দেওয়ার দাবিতে পি.এম নিটেক্স লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কারখানার প্রবেশদ্বারে ৩ শতাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক একত্রিত হয়ে তাদের ছুটিকালীন ভাতা শতভাগ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনে অংশে নেওয়া নারী শ্রমিক আকলিমা বলেন, আমরা সারাবছর কাজ করি মালিকপক্ষের জন্যে। তারা আমাদের ছুটিকালীন ভাতা শতভাগ করতে অনীহা করছে। আমরা তা মানবো না।
আরেক শ্রমিক আব্দুল্লাহ জানান, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের সাথে অবিচার করা হচ্ছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না।
পি.
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, শ্রমিকরা ছুটির ভাতা শতভাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গার্মেন্টসে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিল পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শতভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।