ভালোবাসা যত প্রবল হবে; ভালোবাসাবিরোধী, মানুষবিরোধী, প্রাণ-প্রকৃতিবিরোধী শক্তিগুলো তত দুর্বল হবে। প্রবল ভালোবাসাই এই সমাজকে শোষণ, নিপীড়ন ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করতে পারে।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত বসন্ত উৎসবে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সমগীতের’ উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয়। ‘এসো জুলাইয়ের চৈতন্যে গড়ি বৈষম্যহীন সংস্কৃতির জমিন’ স্লোগানে আয়োজিত এবারের বসন্ত উৎসব জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। এবারের আয়োজনের শিরোনাম ‘জুলাই অভ্যুত্থান আমার দ্রোহ ভালোবাসার গান’।

অনুষ্ঠানে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ভালোবাসার বিস্তার ঘটুক। আমাদের সংস্কৃতি আরও বেশি ভালোবাসাকে ধারণ করুক। মানুষের প্রতি ভালোবাসা অমানুষের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করুক।’

আয়োজনের শুরুতে বেহালায় রাগ বৃন্দাবনী সারং–এর সুর তোলেন বিদ্যুৎ সরকার ও পিয়াস আকবর। অনুষ্ঠানে আদিবাসী বোতলনাচ পরিবেশন করেন সাচিং মং মারমা। সমগীতের কিশোর ব্যান্ড গঙ্গাফড়িং গান পরিবেশন করে।

আয়োজনের বিশেষ পর্বে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে ‘সমগীত শ্রদ্ধার্হ্য’ নিবেদন করা হয়। এই পর্বে আলোচক ছিলেন নিউজ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে ‘সমগীতের’ পক্ষ থেকে ‘শ্রদ্ধার্হ্য পত্র’ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’