সরকারের আশ্বাসে নির্বাচনী জট খুলল, না বাড়ল?
Published: 15th, February 2025 GMT
তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন? জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন কবে পাবে? ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না?
এসব প্রশ্নের মীমাংসার আগেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে নানাভাবে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে। কেউ মনে করেছেন, যত দ্রুত নির্বাচন হওয়া ভালো। কেউ ভাবছেন, নির্বাচন দেরিতে হলে তারা দল গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রশ্ন হলো নির্বাচনটি কবে হবে? জাতীয় না স্থানীয়—কোন নির্বাচন অগ্রাধিকার পাবে?
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরকে ডেটলাইন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আশা করছেন। এর আগে তিনি জাপানি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও একই কথা বলেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়টি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের ঐকমত্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে কোনো বিষয়েই একমত হতে পারে না, সেখানে নির্বাচনের দিনক্ষণ কিংবা সংস্কারের পরিধি নিয়ে একমত হতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও আছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রায় সব প্রশ্নে ঐকমত্য পোষণ করত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারা ও মাঠ ছাড়া হওয়ার পর দল দুটি বলতে গেলে কোনো বিষয়েই একমত হতে পারছে না। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।
বিএনপির দাবি, সবার আগে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। জামায়াত বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনই আগে হওয়া বাঞ্ছনীয়। ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটিও সবার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে জোর প্রচার চালাচ্ছে। এই সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করলে তারাও জাতীয় নির্বাচন করতে পারবে না। ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আওয়াজ দিয়ে এখন সবাই চুপচাপ। এই সরকারের আমলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে কি না সন্দেহ আছে।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে বৈঠক আহ্বান করেছে, তা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করবে কি না, তা অনেকটা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলের ওপর। তারা একমত হলে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে না।
যদি একমত না হতে পারে?
বিএনপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে গেছেন। জামায়াতের নেতারাও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে দাবিনামা দিয়ে এসেছেন। এর পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত নিজেদের শক্তি বাড়াতে সহযোগী দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করছে।
দ্য ডেইলি স্টার–এর প্রধান শিরোনাম: বিএনপি, জামায়াত অন কলিশন’ বা ‘দ্বন্দ্বের পথে বিএনপি-জামায়াত’।
এতে বলা হয়, ‘বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে টানাপোড়েন এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ এবং সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা নিয়ে মতবিরোধের কারণে। গত সপ্তাহে এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে, যখন দুটি দল একে অপরের বিপরীতে অবস্থান নেয়। বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায়। দলটি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেছে।’
উল্লেখ্য, আনুপাতিক ভোটের দাবিটি প্রথম আসে বামপন্থী দলগুলোর কাছ থেকে। এরপর জাতীয় পার্টিও আনুপাতিক ভোটের কথা বলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন কমিশন করলে আনুপাতিক নির্বাচনের দাবিটি জোরদার হয়। কিন্তু বিএনপি সাফ জানিয়ে দেয়, তারা নতুন পদ্ধতি মেনে নেবে না। সংবিধান বা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও এ বিষয়ে বড়ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব করেনি।
সংবিধান সংস্কার কমিশন উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালুর কথা বলেছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি জরিপের বরাত দিয়ে বলল, ৯০ শতাংশ মানুষ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন চায়। এখন যদি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন আগে করার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে কি আমরা ধরে নেব, ৯০ শতাংশ মানুষের বিপক্ষে এটি হয়েছে?
২০১৩ সালের ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচন করেছে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে। ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হলে তাদের নিবন্ধন ফেরত পেতে হবে। জামায়াত নেতারা আশা করছেন, শিগগিরই তারা নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।
নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিএনপির প্রধান বাধা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে না আসতে পারা। আর জামায়াতের বড় বাধা নিবন্ধন না থাকা। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, শিগগির তাদের নেতা দেশে ফিরে আসছেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পরও এ বিষয়ে কোনো সুসংবাদ নেই।
প্রধান উপদেষ্টা দ্য ন্যাশনালকে বলেছেন, ‘আমরা এসব সুপারিশ নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলো ও সুশীল সমাজের কাছে জানতে চাইব যে আপনারা এখন কোনটা বাস্তবায়ন করতে চান, আর কোনটা আপনারা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করতে চান এবং কোনটা একেবারেই বাস্তবায়ন করতে চান না।’
সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই বৈঠকে তারা তাদের মতামত জানাবে। কিন্তু নাগরিক সমাজ কীভাবে মতামত জানাবে? তাদের সঙ্গে আলোচনাটি হবে কীভাবে? নাগরিক সমাজের একাংশ সরকারেই আছে। তারা নিজেরা কোনো অবস্থান নিতে পারবেন কি না? দ্বিতীয়ত সরকারের বাইরের নাগরিক সমাজের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকবে কি না? তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারবে কি না।
জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার কথা বলেছে। কেননা এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক থাকবে না। নিবন্ধনেরও প্রয়োজন হবে না। আর জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চাওয়ার কারণ, এর মাধ্যমে তারা প্রস্তাবিত দল গুছিয়ে নিতে পারবে। অন্য দলের সমর্থন না পাওয়া প্রার্থীদের নাগরিক কমিটিতে টানার সম্ভাবনাও আছে। নাগরিক কমিটির একজন নেতা ইতিমধ্যে দলীয় পদ ছেড়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক হয়েছেন। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যান্য দল প্রকাশ্যে না বললেও কোনো বিষয়ে তাদের দৃঢ়মত আছে বলে মনে হয় না। তাদের মূল লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচনে সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগি করে হলেও নিজের অবস্থান সংহত করা। বিএনপি যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাদের সেই জাতীয় সরকারের অংশীদার হতেও বাধা থাকবে না।
মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে আসেনি; বরং তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভ ছিল তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জুলাই আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে। আর এই সরকার হলো সেই অভ্যুত্থানের ফসল।
২০০৭ সালের ১/১১–এর পর যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তাদের একটি রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল। তারা নিজেরাই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল। এ কারণে নিজেদের ক্ষমতার ভিত শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন করেছিল। এর আগে সত্তর ও আশির দশকে দুই সেনা শাসকও একই কাজ করেছেন। এই সরকারের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই, সে ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচনে যাওয়া উচিত হবে কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।
সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক ও কবি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন সরক র র ব এনপ র ব যবস থ ঐকমত য র বর ত আওয় ম ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো একমত হলে বর্ষপূর্তিতেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ
ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিশেষ করে নির্বাচিত সরকারের সংস্কার করা সংবিধানের প্রস্তাবনায় এই স্বীকৃতির উল্লেখ থাকবে। এ ছাড়া সংবিধানের তফসিলেও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংযুক্ত থাকবে। এ ঘোষণাপত্র ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হবে।
বহুল আলোচিত জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় এ কথাগুলো বলা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্যতম আলোচিত বিষয় এই ঘোষণাপত্র। অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে সম্প্রতি জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলকে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলগুলোর সবুজ সংকেত পেলে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতেই ঘোষণা করা হতে পারে জুলাই ঘোষণাপত্র।
ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক এবং আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসংগত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।’
আরও পড়ুনমৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি ৫ ঘণ্টা আগেপরের পাঁচটি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
খসড়া ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের প্রতিষ্ঠিত বাকশাল বা একদলীয় শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহি জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় বলে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের কথা যেমন এতে উল্লেখ রয়েছে, পাশাপাশি এক-এগারোর ‘ষড়যন্ত্রমূলক বন্দোবস্তের’ কড়া সমালোচনাও ঘোষণাপত্রে আছে।
জনগণের লড়াইকে সমর্থন দেয় সামরিক বাহিনীঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মতো আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ’১৮ ও ’২৪) দেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে বলেও জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ-জলবায়ু ও প্রাণবৈচিত্র্য বিপন্ন করে।
খসড়া ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি ঘোষণা করে, যা পরে ১ দফায় রূপান্তরিত হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন দেন। তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট (২০২৪) পদত্যাগ করেন এবং তিনি মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।