বিরোধপূর্ণ জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫
Published: 16th, February 2025 GMT
নাটোরের সিংড়ায় ধানখেতে সেচ দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামের মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— ইব্রাহিম (৩২), ইলাহী (২৭), সোহেল (১৯), নাসিম (২২), সাহাদত (৩৯), আবজাল (৪৪), রফিকুল (৪৮), মান্নান (৫৮), সাকিল (১৭), ফরিদ (৩৮), আলামিন (১৭) ও হনুফা (৪২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কদমকুড়ি মাঠের একখণ্ড জমির মালিকানা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দা জমসেদ আলী ও জিয়াউর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রাতে বিরোধপূর্ণ জমিতে সেচ দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসমাউল হক বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সিংড়া ও নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’’
ঢাকা/আরিফ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?