মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)। এই হামলার নিন্দা জানিয়ে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, এ ধরনের হামলা সুশাসন, জবাবদিহি ও আইনের শাসনকে দুর্বল করার একটি প্রচেষ্টা।

আজ রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বুধবার বিকেলে বনানী ১২ নম্বর সড়কে নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনি আহত হন। এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রতিবাদ করেছেন।

বিবৃতিতে সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসকের ওপর এমন আক্রমণ শুধু একজন ব্যক্তির ওপরই আক্রমণ নয়; বরং দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকিও। আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত একটি সমাজে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।’

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে থেকে সহায়তা করার ব্যাপারে এবিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইনের শাসনকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে আর্থিক খাতকে বিপর্যস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অংশীজনদের ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানিয়েছে এবিবি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ