১৬ বছরের পেশাদার অভিনয়জীবন মেহজাবীনের। লাক্স তারকাখ্যাত এই অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে কয়েক বছর ধরে পরিচালক ও প্রযোজক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন। আদনান আল রাজীব প্রযোজিত ও পরিচালিত নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন সময়ের জনপ্রিয় এই তারকা। তবে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুজনের কেউই প্রকাশ্যে গত কয়েক বছরে সেভাবে কথা বলতে চাননি। বারবারই মুচকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে অবশ্য রাজীব জানিয়েছিলেন, মেহজাবীনের চেয়ে ভালো কারও সঙ্গে তাঁর পরিচয় হতে পারত না। তিনি তাঁর জীবনের সেরা একটি অংশ। এবার জানা গেল, বিনোদন অঙ্গনের এ দুই তারকা বিয়ে করছেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান আর পরদিন তাঁদের বিয়ে। মেহজাবীন ও রাজীবের একাধিক ঘনিষ্ঠজন বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম আলোকে মেহজাবীনও তাঁর এই বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে কবে, কোথায়, কখন কী অনুষ্ঠান, এসব বিষয়ে কিছুই জানাতে চাননি। এদিকে মেহজাবীন–রাজীবের এক ঘনিষ্ঠজন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘তারা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দাওয়াত পেয়েছি। এর বাইরে আপাতত কিছুই বলতে পারছি না। ওরা দুজন যদি কিছু জানায়, সেটা তাদের পক্ষ থেকেই জানাবে।’

আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী। ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদ থেকে চার জেলেকে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফ নদ থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া সংলগ্ন লাল দ্বীপ নাফনদে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন, আরাফাত উল্লাহ (২১), আনিস উল্লাহ (২২), মো. জাবের (১৪), আনোয়ার সাদেক (২৭)। তারা সবাই টেকনাফের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ নুর বলেন, প্রতি দিনের মতো ড্রামের ভেলা দিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফনদে শিকারে যায় জেলেরা। এসময় মিয়ানমার থেকে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌকাসহ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এতে আরও বেশ কয়েকজন জেলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয় জেলে মোহাম্মদ আলম বলেন, আরাকান আর্মির কারণে জেলেদের সব সময় আতঙ্কের মধ্য থাকতে হয়। প্রায় সময় জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। আজকেও চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ