Risingbd:
2025-05-01@09:39:46 GMT

কেন ভেঙেছিল শিবা-অক্ষয়ের প্রেম?

Published: 18th, February 2025 GMT

কেন ভেঙেছিল শিবা-অক্ষয়ের প্রেম?

নব্বই দশকের বলিউডের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী শিবা আকাশদীপ। সালমান খান, অক্ষয় কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করেছেন। ১৯৯২ সালে ‘মিস্টার বন্ড’ সিনেমায় জুটি বেঁধে রোমান্স করেন অক্ষয়-শিবা। এ জুটির পর্দার প্রেম বাস্তব জীবনেও গড়ায়। যদিও পরবর্তীতে এ সম্পর্ক ভেঙে যায়।

অক্ষয়-শিবার প্রেম নিয়ে সেই সময়ে চর্চা কম হয়নি। কিন্তু কখনো তারা স্বীকার করেননি। প্রায় ৩ দশক পর অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার কথা স্বীকার করলেন শিবা। পাশাপাশি এ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন এই অভিনেত্রী।

পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শিবা। আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, আপনারা পরস্পরকে অনেক ভালোবাসতেন। হঠাৎ কী ঘটেছিল যে, সম্পর্ক ভেঙে গেল? জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমরা দুজনেই তখন বাচ্চা ছিলাম। আমি এটা নিয়ে কথাও বলি না। আমার কাছে এটা এত মজার লাগে! এটা নিয়ে কথা বলার কী আছে! সেই সময়ের তেমন কিছু আমার মনেও নেই। তিন দশক পার হয়ে গেছে।”

সম্পর্ক ভেঙে গেলেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকার ব্যাপারে আপনার বিশ্বাস আছে কিনা? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “কম বয়স এবং আবেগপ্রবণ হলেও এটি হতে পারে না। মানুষ খুবই আবেগপ্রবণ। তাই তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করে।”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “তরুণ বয়সের প্রেম খুব আবেগপ্রবণ এবং শক্তিশালী। এটি অনেকটা বিস্ফোরণের মতো। তাই যখন সেই বিস্ফোরণ ঘটে, তখন তা ভেঙে পড়ে। বন্ধুত্ব টিকে থাকে না। পরে বন্ধু হওয়ার জন্য সম্পর্কের মধ্যে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হয়। এটি ঘটে না, যদি না আপনি সত্যিই পরিণত হন।”

সব অতীত ভুলে ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অক্ষয় কুমার। এ দম্পতির একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, ১৯৯৬ সালে আকাশদীপকে বিয়ে করেন শিবা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ