নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রেম ও বিয়ের গুজব অনেকবারই রটেছে। ব্যক্তিগত বিষয়টি নিয়ে অবশ্য দু’জনের কেউই কথা বলতে চান না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে দু’জনই মুখে কুলুপ আঁটেন। 

দীর্ঘদিন ধরেই শোবিজে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে ঘিরে প্রেম ও বিয়ের গুজব অনেকবারই রটেছে। তবে তাদের কেউই সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। যদিও একসঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গেছে প্রায়ই। প্রশ্ন করলেই এড়িয়ে যেতেন সম্পর্কের বিষয়টি। তবে তারা যে একে অপরের আবিষ্ট তা মুখে না বললেও ঠিকই বুঝেছেন অনুরাগীরা।

এবার ভালোবাসা দিবস (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকেই শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন এ যুগল। মেহজাবীন-রাজীবের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করতে যাচ্ছেন তারা। আরেকটি সূত্র বলছে ২০ নয় ২৩ তারিখে হবে তাদের গায়ে হলুদ। আর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে ২৪ জানুয়ারি। 

সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে বিয়ের দাওয়াত কার্যক্রম চালাচ্ছেন এ জুটি। বিয়ের দিন এ দুই তারকার পরিবার ও কাছের মানুষেরা উপস্থিত থাকবেন। তবে এ বিষয়ে এখনও মেহজাবীন বা রাজীবের কেউই মুখ খুলেননি। মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এর আগে অসংখ্যবার প্রেম ও বিয়ের খবরে শিরোনাম হয়েছেন এ যুগল। তবে বরাবরই এসব এড়িয়ে গেছেন তারা। এক সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেছিলেন, ‘মেহজাবীন আমার জীবনের সেরা ও মূল্যবান ব্যক্তি।’ তবে প্রেম ও বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন তিনি।

এমনকি বছরখানেক আগে এ-ও শোনা গিয়েছিল যে, ইতোমধ্যে তারা বিয়ে সেরে একসঙ্গে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। তবে এ গুঞ্জনেও সিলমোহর দেননি তাদের কেউই! এবার অবশ্য বিয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত। অবশেষে রাজীবের গলায় মালা দিচ্ছেন মেহজাবীন!

প্রসঙ্গত, ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। নজর কেড়েছেন ওয়েব ফিল্মেও। ইতোমধ্যে অভিষেক করেছেন বড় পর্দাতেও। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে মেহজাবীন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মালতী’। এটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র ম হজ ব ন ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা। চলুন, বিশেষ এই দিনে শাহরুখ খানের অজানা সাতটি তথ্য জেনে নিই—

এক. ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। কিন্তু সিনেমাটিতে শাহরুখ খানের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তারকা পুত্র আরমান কোহলির। অভিজ্ঞ পরিচালক রাজ কুমার কোহলির রাগী ছেলে আরমান সিনেমাটির একটি শিডিউল শেষ করে পরিচালক রাজ কানওয়ারের সঙ্গে ঝগড়া করে সেট ছেড়ে চলে যান। প্রযোজকরা তখন তড়িঘড়ি করে একটি নতুন মুখ খুঁজতে থাকেন, যে চরিত্রটির সঙ্গে মানানসই। তারপর আরমানের চরিত্রটি রূপায়নের সুযোগ পান নবাগত শাহরুখ খান।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

নেচে প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন শাহরুখকন্যা

দুই. দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা কমল হাসানের ‘হে রাম’ সিনেমায় শাহরুখের চরিত্রের নাম ছিল আমজাদ খান। ‘শোলে’ সিনেমায় গব্বর সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন আমজাদ খান। তার নাম অনুসারে ‘হে রাম’ সিনেমার আমজাদ চরিত্রের নামকরণ করা হয়। কারণ কমল হাসান ও আমজাদ খানের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলেন। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি শাহরুখ। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেছিলেন—“কমল হাসানের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কেউ টাকা নেয় না।”

তিন. শাহরুখ ও আমির খান কখনো একসঙ্গে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। তবে আমির খানের কাজিন মনসুর আলীর ‘জোশ’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। মনসুর চেয়েছিলেন, সিনেমার গল্পে আমির খান ঐশ্বরিয়ার প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করুক। কিন্তু আমির চেয়েছিলেন, ঐশ্বরিয়ার জমজ ভাইয়ের চরিত্র। কিন্তু তা হয়নি। ফলে কাজটি ছেড়ে দেন আমির খান। সর্বশেষ পরিচালকের নির্ধারিত চরিত্রে (ম্যাক্স ডিয়াস অর্থাৎ ঐশ্বরিয়ার ভাই) অভিনয় করেন শাহরুখ খান।

চার. শাহরুখ খান প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর বিপরীতে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ ‘আর্মি’ সিনেমায় সেই সুযোগ হয়। যদিও সিনেমাটিতে ক্যামিও চরিত্রে (মেজর অর্জুন) অভিনয়ের সুযোগ পান, তারপরও এটি লুফে নেন শাহরুখ খান। 

পাঁচ. ‘কয়লা’ সিনেমায় শঙ্কর চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ। চরিত্রটি ছিল বোবার। প্রথমে তার কোনো সংলাপই ছিল না। কিন্তু এ নিয়ে চলচ্চিত্র পরিবেশকরা আপত্তি জানান। তারা প্রশ্ন তুলেন—‘সুপারস্টারের মুখে একটি কথাও থাকবে না?’ তাই পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশান বাধ্য হয়ে স্বপ্নদৃশ্যে শাহরুখের কিছু সংলাপ যোগ করে দেন।

ছয়. বলিউড বাদশা শাহরুখ খান তার সব সহ-অভিনয়শিল্পীদেরই ভালোবাসেন। কিন্তু তার প্রিয় হলেন রাখি গুলজার। ‘করন অর্জুন’ সিনেমায় শাহরুখের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। শাহরুখ তাকে নিজের মায়ের মতোই ভালোবাসেন।

সাত. শাহরুখ খান অনেকবার নিজের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ১৯৯৮ সালে ‘আচানাক’ সিনেমায় প্রথমবার শাহরুখ চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও গোবিন্দ অভিনীত সিনেমাটিতে শাহরুখের ক্যামিও চরিত্র ছিল। এর দুই বছর পর এম. এফ. হোসেনের ‘গজ গামিনি’ সিনেমায় নিজের চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিও ক্যামিও চরিত্র ছিল। 

১৯৯৫ সালে শাহরুখ খানের সাংবাদিক বন্ধু সমর খান, শাহরুখের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তাতে শাহরুখ খান নিজের নামে অভিনয় করেন। ২০০৯ সালে জোয়া আখতারের ‘লাক বাই চান্স’, ২০১১ সালে নবাগত পরিচালক সাহিল সাংঘার ‘লাভ ব্রেকআপস জিন্দেগি’, ২০১০ সালে মকরন্দ দেশপান্ডের শাহরুখ বোলা ‘খুবসুরত হ্যায় তু’ সিনেমায় শাহরুখ নিজের নাম নিয়েই পর্দায় হাজির হন।

তথ্যসূত্র: বলিউড হাঙ্গামা

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?