তারুণ্যর অগ্রযাত্রার তাগিদে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ স্লোগানে কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথমবারের মতো ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। এতে টেকনাফ উপজেলার ১০০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেন। সকাল সোয়া ৮টায় টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে দৌড় শুরু হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাবরাং জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয় ৯টায়। এতে ৪১ মিনিট সময় নিয়ে টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইউসুফ জালাল (১০৭৫) প্রথম স্থান অর্জন করেন।  

সকালে ম্যারাথন দৌড়ের উদ্বোধন করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন। এসময় উপস্থিল ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ নেজামী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, ইপসার প্রকল্প সমন্বয়কারী রাশেদুল করিম প্রমুখ। 

এদিকে তরুণের জয়গান ও তারুণ্যর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকার তাগিদে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে উজ্জীবিত একঝাঁক তরুণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠেয় ম্যারাথন সার্থক ও সুন্দর করার জন্য ইপসা ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়েছে। ম্যারাথন দৌড় সফল করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দের পাশাপাশি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের প্রজেক্ট ম্যানেজার ও ইপসার প্রকল্প সমন্বয়কারীসহ সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ম্যারাথন হচ্ছে একটি পন্থা যার মাধ্যমে আমরা শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি ও মানসিক চাপ কমাতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা দৌড়াচ্ছে তারা জুলাই-আগস্ট মাসে বিপ্লব করেছিল তাদেরকে নিয়ে আমদের ‘রান ফর জাস্টিস’ নামে এ দৌড় শুরু করা হয়েছে। এটা কোন প্রতিযোগিতা নয়। আমরা জানিয়ে দিতে চাই তরুণেরা সকলেই একতাবদ্ধ রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল বদল ই

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা

শেরপুরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করায় দুই সার ব্যবসায়ীকে প্রায় সোয়া লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক বিএডিসি সার ডিলারকে ১ লাখ টাকা ও লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রি করায় আরেক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরো পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঝিনাইদহে ২৫০টি অবৈধ জাল জব্দ, বাঁধ উচ্ছেদ

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জরিমানার তথ্য জানান।  

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া বলেন, ‘‘সার বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই অসাধু ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকের উপর জুলুম মেনে নেওয়া হবে না।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন সোর্স এ সব অসাধু ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর রাখছেন। যার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’’ জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানকালে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে কৃত্রিম সার সংকট দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছেন। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আখের মাহমুদ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পেয়ে বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রয় করায় একই বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শিশির এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নীলু বলেন, ‘‘আমন মৌসুসে সারের দাম ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। আমরা যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানে অভিযান পরিচালনা করছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই।’’

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা