বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুমিতমো কর্পোরেশনের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার মি. হিরোনরি ইয়ামানাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করায় সুমিতমো কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এ বৃত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।”

বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন- অমিতা রায় (বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি), তুলি রাণী দাস (ইতিহাস), নজরুল ইসলাম (পরিসংখ্যান), তাবাসসুম হক ইভা (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স), রাবেয়া বসরী তামান্না (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), আবিদা সুলতানা বৈশাখী (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক), সাবিকুন্নাহার সামান্তা (উদ্ভিদবিজ্ঞান), ফারদিনা তাসনিম (ভূগোল ও পরিবেশ), মো. জামিউল হাসান জেমস (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল) ও মো. আশিকুজ্জামান আশিক (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. মোর্শেদ আলম শফিক (গণিত), মো. শাকিবউর রহমান (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল), প্রিয়া কুন্ডু (ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স), তায়েবা বিনতে হান্নান (লোক প্রশাসন), নমল উমামা চৌধুরী (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), সোমা রানী (দর্শন), মো. ফরিদুল ইসলাম (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্), মো. আবু সোলায়মান শান্ত (ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি), মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ও জাহিদুল হক (সমাজকল্যাণ)।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. সজল হোসেন (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), শিমু শাহা (ফিন্যান্স), শেখ শাকিল হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), তাসনিম জুয়াইরিয়া বিন্তি (জাপানিজ স্টাডিজ), গোলাম মোস্তফা (মার্কেটিং), সাদিয়া চৌধুরী (গণিত), লেসমি রানী (ইতিহাস), মাহমুদা খাতুন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ইব্রাহিম সরকার (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস) এবং তানজিনা আক্তার (আইন)।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন- মতিয়া নূর রাইসা (জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি), আহমেদ আদনান (আই.আই.টি), মাজহারুল ইসলাম (ইসলামিক স্টাডিজ), মোঃ রেদওয়ানুল ইসলাম (গণিত), আরিফা হক (পদার্থ বিজ্ঞান), মাইকেল সাগর সরকার (আইন), মো. কামরুল হাসান রাব্বি (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), ত্রিশা নন্দী (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), আব্দুল মুহাইমিন (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) এবং আপেল চন্দ্রো (মনোবিজ্ঞান)।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর ষ র শ ক ষ র থ র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা, আসামি ১৫৯
  • জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে বাধা: ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক ও ১৯ সংগঠনের নিন্দা
  • আপেল মাহমুদ অথবা রবিঠাকুরের কাদম্বিনীর গল্প
  • বালু ব্যবসার নামে প্রতারণা কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা
  • জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে এখনও রাজনৈতিক ছায়া
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
  • কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভিনিং এমবিএ, সিজিপিএ ২.৫ থাকলে করুন আবেদন