নাঈমের কাছে বাপ্পারাজের প্রশ্ন, হেনা কোথায়
Published: 19th, February 2025 GMT
“চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়?”— বাপ্পারাজের এই সংলাপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখতেই টিকটক আর রিলসে ভেসে বেড়াচ্ছে এই সংলাপের ভিডিও ক্লিপ।
রিল লাইফে বাপ্পারাজের প্রেমিকা ‘হেনা’ অর্থাৎ শাবনাজ। ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় এসব সংলাপ ব্যবহার করা হয়। রিয়েল লাইফে নাঈমকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন শাবনাজ।
এরই মধ্যে নাঈমের কাছে ছুটে যান বাপ্পারাজ। মুখোমুখি হয়ে তার কাছে জানতে চান— ‘নাঈম ভাই হেনা কোথায়?’ এ মুহূর্তের একটি ভিডিও নাঈম তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। এরপর নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও।
আরো পড়ুন:
রাত ৮টায় মদের বোতল খুলে বসি: গোবিন্দর স্ত্রী
‘টানা ৬০ ঘণ্টার শুটিংয়ে ৯ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি’
ভিডিওতে দেখা যায়, বাপ্পারাজ ছাদখোলা গাড়ি থেকে নেমে নাঈমকে জিজ্ঞাসা করেন, হেনা কোথায়? বাপ্পারাজকে ধরে নাঈম উত্তর দেন, “বাপ্পা তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস।” বাপ্পারাজ বলেন, “কেন?” উত্তরে নাঈম বলেন, “আমার সঙ্গে অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে।” এ কথা শুনে বাপ্পারাজ চিৎকার করে বলেন, “না… আমি বিশ্বাস করি না।”
এর মধ্যে ইমন সাহা, দিঠি আনোয়ারসহ কয়েকজন গেয়ে উঠেন ‘প্রেমের সমাধি’ গানটি। শেষে দেখা মিলে শাবনাজেরও।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলে নাঈম-শাবনাজের বাড়িতে মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বাপ্পারাজসহ চলচ্চিত্রাঙ্গনের বেশ কয়েকজন। সেখানেই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমা ১৯৯৬ সালে নির্মাণ করেন ইফতেখার জাহান। সিনেমাটিতে ‘হেনা’ চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ। আর ‘বকুল’ চরিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পারাজ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র শ বন জ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই আদেশ দেন।
আরো পড়ুন:
কৃষক হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি জেলার কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ইসমাইল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ২০২০ সালের ১৯ জুন সুমাইয়া খাতুন সুরভীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা ও মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
ঢাকা/রাসেল/রাজীব