কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঘরের দরজা ভেঙে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের চড়দামুকদিয়া থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

স্বামী ফরিদুল ইসলামের (৭৪) মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আর স্ত্রী রাবিয়া খাতুনের (৫৫) মরদেহ গলায় কাপড় পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। তারা চড়দামুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম। 

আরো পড়ুন:

খালে ভাসমান যুবকের মরদেহ উদ্ধার

হবিগঞ্জে তরুণ-তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান ফরিদুল ও রাবিয়া। তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ছোট ছেলে শরিফুল ডাকতে থাকে। এক পর্যায়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় ঘরের টিনের চালার বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে ফরিদুল ইসলাম এবং বিছানায় পড়ে আছে তার স্ত্রীর মরদেহ। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়রা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন।

খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘরের দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। রাবিয়া খাতুনের মরদেহ গলায় কাপড় পেঁচানো, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে ছিল। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ৷ 

ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ দ ল ইসল ম ত অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ