কুষ্টিয়ায় ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 19th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঘরের দরজা ভেঙে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের চড়দামুকদিয়া থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্বামী ফরিদুল ইসলামের (৭৪) মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। আর স্ত্রী রাবিয়া খাতুনের (৫৫) মরদেহ গলায় কাপড় পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। তারা চড়দামুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
খালে ভাসমান যুবকের মরদেহ উদ্ধার
হবিগঞ্জে তরুণ-তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান ফরিদুল ও রাবিয়া। তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ছোট ছেলে শরিফুল ডাকতে থাকে। এক পর্যায়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় ঘরের টিনের চালার বাঁশের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে ফরিদুল ইসলাম এবং বিছানায় পড়ে আছে তার স্ত্রীর মরদেহ। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়রা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন।
খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘরের দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। রাবিয়া খাতুনের মরদেহ গলায় কাপড় পেঁচানো, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে ছিল। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ৷
ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ দ ল ইসল ম ত অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।