আন্তর্জাতিক পার্টনারদের সাথে যুক্ত হলো ব্র্যাক ব্যাংক
Published: 19th, February 2025 GMT
দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ আরো সহজ করতে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং কাতারের ছয়টি শীর্ষস্থানীয় এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকটির আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে।
এই কৌশলগত উদ্যোগের ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে আরো উন্নত ও ঝামেলাহীন রেমিটেন্স সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল রেমিটেন্স চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা এখন আরো সহজে দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন। ব্যাংকটির অনেক নতুন পার্টনার গ্রাহকদের অ্যাপ-ভিত্তিক ক্যাশলেস ট্রানজ্যাকশনের সুবিধা দিচ্ছে, যা সুবিধাভোগী গ্রাহকদের জন্য সার্বিক ডিজিটাল এক্সপিরিয়েন্স নিশ্চিত করছে। প্রবাসীরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি ব্যাংকটির ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধাও উপভোগ করতে পারছেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ফলে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দূরপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে রেমিটেন্স সুবিধাভোগীদের সংযোগ আরো উন্নত হচ্ছে।
দেশজুড়ে ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা এবং ১,১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে গ্রাহকরা সহজেই নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারছেন। এছাড়াও, প্রবাসীরা [email protected] -এ ইমেইল পাঠিয়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাচ্ছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী, এনএফসিডি, এফডি, ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলাসহ এনআরবি বন্ড ক্রয়ের সুযোগ।
ইকেওয়াইসি সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন। ব্যাংকটির ‘প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্টের আওতায় জীবনবিমা, ফিক্সড ইন্টারেস্ট রেট এবং মাসিক পেআউট সুবিধাও নিতে পারছেন গ্রাহকরা। এছাড়াও, অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিটেও আকর্ষণীয় ইন্টারেস্ট রেট দিচ্ছে ব্যাংকটি।
নতুন পার্টনারশিপ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমরা শুধু গ্রাহকদের রেমিটেন্স সেবাই দিচ্ছি না, বরং ব্যাংকিংয়ে তাঁদের এক নতুন অভিজ্ঞতাও দিচ্ছি। নতুন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সাথে আমাদের এই পার্টনারশিপের ফলে গ্রাহকদের জন্য রেমিটেন্স সেবা আরো সহজ, ঝামেলাহীন এবং সাশ্রয়ী হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রেমিটেন্স সেবা কেবলমাত্র শুরু। আমরা গ্রাহকদের জন্য এমন এক সম্পূর্ণ ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম তৈরি করছি, যা তাঁদের সঞ্চয় থেকে শুরু করে বিনিয়োগ পর্যন্ত সকল আর্থিক বিষয়ে সহায়তা করবে। এর ফলে প্রবাসী এবং তাঁদের পরিবারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে, যা জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
উল্লেখ্য, প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের আর্থিক ক্ষমতায়ন, নিরাপত্তা এবং অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের রেমিটেন্স নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র প র টন র
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক