লক্ষ্মীপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা পেলেন আর্থিক সহায়তা
Published: 24th, February 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ব্যানারে তাদের হাতে ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো.
প্রশাসন সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে লক্ষ্মীপুরে ১৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৫৮ জন। শহীদদের পরিবার ও আহতদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়। রবিবার শহীদ পরিবারের একজনকে ১০ হাজার ও আহত ৯৭ জনকে ৫ হাজার টাকা করে চেক বিতরণ করা হয়েছে।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, “৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, “আপনারা জীবন্ত ইতিহাস। মনের গভীর থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে জাতি ইতিহাসকে স্মরণ করতে পারে না, সে জাতি জাতি হিসেবে গড়ে ওঠে না। ইতোমধ্যে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২২ জনকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন ছ ত র জনত র পর ব র ও আহতদ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই বিপ্লবী মেয়েরা আজ নিরাপদ বোধ করছে না: ফরহাদ মজহার
জুলাই বিপ্লবে সামনে থাকা মেয়েরা আজ নিরাপদ বোধ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কবি ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থান বলতে আসলে কি বুঝায়, আমাদের সমাজে এর পরিষ্কার ধারণা নেই। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সামনের সাড়িতে অনেক মেয়ে ছিল। কিন্তু তারা হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেল? তারা আর রাজপথে নেই। কারণ তারা রাজপথে আর নিরাপদবোধ করছে না। আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে রাষ্ট্র আর সরকারের পার্থক্য স্পষ্ট না। ফলে দেশ সামনের দিকে আগাতে পারছে না।”
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘অভ্যুত্থান: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ এ সভার আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
রাবিতে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে রোগ ‘স্ক্যাবিস’
রাবির ভর্তি পরীক্ষা: একটি ইউনিটেই ৭৫০ ওএমআর বাতিল
ফরহাদ মজহার বলেন, “১৯৭২ এর সংবিধান আমরা বাতিল করতে চেয়েছিলাম। কারণ, ওই সংবিধান সাধারণ মানুষ প্রণয়ন করেনি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যাবস্থা, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এক হয়ে লড়েছিল। কিন্তু বর্তমান ইন্টেরিম সরকার আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র করতে দেয়নি। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য জুলাই ঘোষণাপত্র ও নতুন গঠণতন্ত্র চাই।”
রাবি রেজিস্ট্রার ও সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক প্রমুখ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী