বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স বিভাগে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: রিসার্চ অফিসার
পদসংখ্যা: ১
বিভাগ: জেনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট
যোগ্যতা: পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ট্রেনিং বা টিচিং স্ট্যাটিসটিক্যাল মেথডসে বিশেষ করে কম্পিউটেশনাল বায়োলজি কনটেক্সটে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর, পাইথন, পার্ল, সি‍ ‍+‍+, জাভা বা এ ধরনের প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।
বয়স: ২৫ থেকে ৩২ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
বেতন স্কেল: ২৫,৩৮৩–৬৩,৪৫৬ টাকা

২.

পদের নাম: রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট
পদসংখ্যা: ১
বিভাগ: স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমপিএইচ/এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। স্ট্যাটিসটিকস/বায়োস্ট্যাটিসটিকস/এপিডেমিওলজি বিষয়ে ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। পাবলিক হেলথ রিসার্চে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ডাটা ম্যানেজমেন্ট ও অ্যানালাইসিসের দক্ষতা থাকতে হবে। এসটিএটিএ, আর, এসপিএসএসের কাজ জানতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনায় পারদর্শী ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
বেতন স্কেল: ২৫,৩৮৩-৬৩,৪৫৬ টাকা

আরও পড়ুনডাক বিভাগে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ৫০৪২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চাকরি–সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে নিয়োগ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Now বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনডাক জীবন বীমায় চাকরি, নয় ক্যাটাগরিতে পদ ৫৬২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?

একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। 

চিকিৎসকদের মতে,  ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’

নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।

আরো পড়ুন:

প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন

যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়। 
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।

নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ