কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্যের ‘বার্ষিক পার্টনারস মিট’ অনুষ্ঠিত
Published: 24th, February 2025 GMT
সম্প্রতি ঢাকার একটি অভিজাত কনভেশন হলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস কনকা, গ্রী ও হাইকো পণ্যের উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী গ্রুপ ইলেক্ট্রো মার্টের ‘বার্ষিক পার্টনারস মিট ২০২৫’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনের শুরুতে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ সেলিম অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়িক পার্টনার ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী দেশের গ্রাহকদের কাছে প্রচার, প্রসার ও বিপণনের জন্য পার্টনারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ বলেন, ‘দেশের ইলেকট্রনিকস খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বাধিক গুণগত মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের ইলেকট্রনিকস পণ্য সরবরাহের নিমিত্তে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন পরিচালনা করছে গ্রুপটি এবং প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন পণ্য বাজারে সংযোজন করে যাচ্ছে।’
সম্মেলনে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা বাবু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্য বিপণনে ভূমিকা পালনকারী পার্টনারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সম্মেলনকে সফল ও স্বার্থক করছে। এই সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা, নিরলস পরিশ্রম ও নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসা ছাড়া সাফল্য অর্জন সম্ভব হতো না।’
গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আফছার বলেন, ‘কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, গুণগতমান, গ্রহণযোগ্যতা, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ। তিনি পণ্যগুলোর নতুন মডেলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও গুণাগুণ পার্টনারদের সামনে তুলে ধরেন।’
সম্মেলনে পার্টনাররা কনকা, গ্রী ও হাইকো পণ্যের বিপণনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাঁরা এই পণ্যের ব্যাপক চাহিদার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এ সময় কনকা আইসক্রিম ফ্রিজারের একটি নতুন মডেল এবং শোকেস ফ্রিজারের তিনটি নতুন মডেলের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সম্মেলন শেষে ২০২৪ সালের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে শীর্ষস্থানীয় পার্টনাদের সম্মাননাসহ ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
সম্মেলনে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ ঊন নেওয়াজ, নুরুল আজিম, মহাব্যবস্থাপক মাহমুদুন নবী চৌধুরীসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক