সম্প্রতি ঢাকার একটি অভিজাত কনভেশন হলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস কনকা, গ্রী ও হাইকো পণ্যের উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী গ্রুপ ইলেক্ট্রো মার্টের ‘বার্ষিক পার্টনারস মিট ২০২৫’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনের শুরুতে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ সেলিম অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়িক পার্টনার ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী দেশের গ্রাহকদের কাছে প্রচার, প্রসার ও বিপণনের জন্য পার্টনারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ বলেন, ‘দেশের ইলেকট্রনিকস খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বাধিক গুণগত মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের ইলেকট্রনিকস পণ্য সরবরাহের নিমিত্তে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন পরিচালনা করছে গ্রুপটি এবং প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন পণ্য বাজারে সংযোজন করে যাচ্ছে।’

সম্মেলনে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

নুরুল আমিন বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস খাত ছিল সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। দেশে শিল্পবান্ধব নীতির ফলে তা এখন স্বনির্ভর শিল্প খাতে পরিণত হতে চলছে। বিশ্বের খ্যাতনামা কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্য এখন বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই এসব ইলেকট্রনিকস পণ্য মেইড ইন বাংলাদেশ নামে বিদেশে রপ্তানি হবে।’

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুচ্ছাফা বাবু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্য বিপণনে ভূমিকা পালনকারী পার্টনারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সম্মেলনকে সফল ও স্বার্থক করছে। এই সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা, নিরলস পরিশ্রম ও নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসা ছাড়া সাফল্য অর্জন সম্ভব হতো না।’

গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আফছার বলেন, ‘কনকা, গ্রী ও হাইকো ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, গুণগতমান, গ্রহণযোগ্যতা, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ। তিনি পণ্যগুলোর নতুন মডেলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও গুণাগুণ পার্টনারদের সামনে তুলে ধরেন।’

সম্মেলনে পার্টনাররা কনকা, গ্রী ও হাইকো পণ্যের বিপণনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাঁরা এই পণ্যের ব্যাপক চাহিদার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এ সময় কনকা আইসক্রিম ফ্রিজারের একটি নতুন মডেল এবং শোকেস ফ্রিজারের তিনটি নতুন মডেলের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সম্মেলন শেষে ২০২৪ সালের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে শীর্ষস্থানীয় পার্টনাদের সম্মাননাসহ ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

সম্মেলনে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ ঊন নেওয়াজ, নুরুল আজিম, মহাব্যবস্থাপক মাহমুদুন নবী চৌধুরীসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র টন র ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ