Risingbd:
2025-11-03@15:26:37 GMT

সাজেকে যেতে পারবেন পর্যটকরা

Published: 25th, February 2025 GMT

সাজেকে যেতে পারবেন পর্যটকরা

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। তবে, একদিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই ভ্রমণে দেওয়া সেই বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে তারা। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। 

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মো.

সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়।

আরো পড়ুন:

খুলছে দেবতাখুম ভ্রমণের দুয়ার

মাউন্ট একঙ্কাগুয়া অভিযানে যাচ্ছেন জাফর সাদেক

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সাজেক রিসোর্ট কটেজ ব্যবসায়ীদের একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। তারা বলেছেন, যেহেতু পর্যটন মৌসুম শেষের দিকে এবং পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে, তাই এই কয়েকদিন তারা ব্যবসা করতে না পারলে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

তিনি আরো বলেন, “এখনো সাজেকের অনেক রিসোর্ট কটেজ অক্ষত আছে, তাই আমরা সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রমণে নিরুৎসাহিতকরণের বিষয়টি তুলে নেওয়া হয়েছে।” 

এই বিষয়ে কটেজ এন্ড রিসোর্ট এসোসিয়েশন অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার ওপর এখন যদি নিরুৎসাহিতকরণের কারণে পর্যটক আসা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমরা পথে বসে যাব। প্রশাসনের নিরুৎসাহিতকরণ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” 

গতকাল সোমবার দুপুরে সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৯৫টি রিসোর্ট-কটেজ, দোকান ও বাড়ি পুড়ে যায়।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ ভ রমণ ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই দিনে যেতে পারেননি কোনো পর্যটক, কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত

নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছে সরকার। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছিল, কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন। কিন্তু দুই দিনে একজন পর্যটকও যেতে পারেননি। কারণ, পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ। কবে থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হবে, তা নিয়েও কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকেই পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতের কথা। এ জন্য ১ হাজার ৭০০ জন ধারণক্ষমতার দুটি জাহাজ—এমভি কর্ণফুলী ও এমভি বার আউলিয়া চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু গতকাল শনিবার ও আজ রোববার ওই রুটে কোনো জাহাজ চলেনি। আরও চারটি জাহাজ চলাচলের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না, তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাতযাপনের সুযোগ থাকবে। বিআইডব্লিউটিএ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবে না। পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকতে হবে। কিউআর কোডবিহীন টিকিট নকল বলে গণ্য হবে।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে রাতের বেলায় সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি, বারবিকিউ পার্টি, কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা বিক্রি, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৈকতে মোটরসাইকেল বা সি-বাইকসহ মোটরচালিত যান চলাচলও বন্ধ। নিষিদ্ধ পলিথিন বহন এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক (চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, পানির বোতল ইত্যাদি) ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

পর্যটক নেই, ফাঁকা ঘাট

আজ সকাল সাতটায় নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কোনো যাত্রী নেই। বাঁকখালী নদীতেও পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ দেখা যায়নি। ঘাটে অবস্থান করছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। জানা যায়, গতকাল সকালে তিনজন পর্যটক টিকিট কেটে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, পরে জাহাজ না থাকায় ফিরে যান।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য সেন্ট মার্টিন উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় গত দুই দিনে কোনো পর্যটক যেতে পারেননি। নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনে ফেরার নিয়ম থাকায় সময় ও সুযোগ কম, আবার দীর্ঘ জাহাজযাত্রার কারণে অনেকেই নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তারপরও আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঘাটে অবস্থান করছি।’

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, টানা ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ১ নভেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট কিংবা টেকনাফের কোনো স্থান থেকে এখনো জাহাজ চলাচলের অনুমতি নেই।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।

গত ডিসেম্বরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছেড়ে কক্সবাজারের পথে পর্যটকবাহী একটি জাহাজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্দোলনে রাজধানীতে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ যানজট, ডিএমপির দুঃখপ্রকাশ
  • দুই দিনে যেতে পারেননি কোনো পর্যটক, কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত
  • বরফ গলে মেরু এলাকায় নতুন বাস্তুতন্ত্রের খোঁজ
  • অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
  • সেন্টমার্টিনের দ্বার খোলা, ছাড়েনি জাহাজ
  • পর্যটন শিল্প বিকাশে আইকন গ্লোবাল ট্যুর অপারেটর আল মামুন
  • সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’
  • কক্সবাজার সৈকতে ঘোড়া, কুকুর ও গরু, স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু