ভারতে ৭২ ঘণ্টা ধরে সুড়ঙ্গে আটকা ৮ শ্রমিক
Published: 25th, February 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার নাগারকুর্নুল জেলায় ধসে পড়া একটি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৮ শ্রমিককে উদ্ধার প্রচেষ্টা চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে কাদামাটির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় খনন কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সোমবার সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রবেশ করা বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, সেখানে কাদার স্তর আরও এক মিটার বেড়েছে এবং সুড়ঙ্গের খাঁড়ির দিকে আরও কাদা প্রবাহিত হচ্ছে। প্রচুর কাদা জমে থাকায় কেন্দ্রস্থলে পৌঁছনোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
স্যুটকেসে শাশুড়ির খণ্ডিত দেহ, নদীতে ভাসানোর আগে আটক
ভূমিকম্পে কাঁপল পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা
তবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে বিকল্প কৌশল হিসেবে পাশ দিয়ে নতুন পথ বের করে প্রবেশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারি যন্ত্র দিয়ে খননের ফলে সুড়ঙ্গের কাঠামোগত স্থায়িত্ব ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
এতে আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশাপাশি উদ্ধারকর্মীদের জীবনও বিপদের মুখে পড়তে পারে। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে অভিযান চালানো হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খুবই অনিশ্চিত, তাই ভারি যন্ত্র দিয়ে খনন করলে আরো বিপদ হতে পারে।
সুড়ঙ্গে প্রতি মিনিটে ৩,২০০ লিটার পানি ঢুকছে। ফলে বালি, পাথর ও ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে মিশে আরো কাদায় পরিণত হচ্ছে। তবে সুড়ঙ্গ থেকে পানি বের করার কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার তেলেঙ্গানার নাগারকুর্নুল জেলায় সেচ প্রকল্পের জন্য সুড়ঙ্গ খনন করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন শ্রমিকরা। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় তারা পৌঁছে যান ১৪ কিলোমিটার গভীরে, আর তখনই আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে সুড়ঙ্গের ছাদ। বেশিরভাগ শ্রমিক বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আটকে পড়েন ৮ জন। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকারীরা এখনো পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি।
তেলাঙ্গানার মন্ত্রী জুপল্লি কৃষ্ণ রাও সোমবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, আটকে পড়া শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি বলেন, সুড়ঙ্গের ভেতরে অনেক উঁচু পর্যন্ত কাদার স্তর জমে রয়েছে। যার ফলে হাঁটাচলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা চলাচলের জন্য রাবার টিউব এবং কাঠের কাঠামো ব্যবহার করছেন।
তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া নির্মাণ শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে যে দল ছিল তারাও ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছেন উদ্ধার কাজে। এই ঘটনায় মোট ৯টি জাতীয় সংস্থা উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি প্রতি মূহুর্তে পুরো ঘটনাটি তদারকি করছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য
রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় তারা কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের নগরীর মতিহার থানায় সোপর্দ করা হয়। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, কনস্টেবল নাসির উদ্দিন বিবাহিত। সিরাজগঞ্জে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তালাইমারি এলাকার এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নাসির ওই নারীর বাসায় যান। ওই সময় এলাকাবাসী ও কয়েকজন নামধারী সাংবাদিক তাদের আটক করে। নাসির কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিবাহ করেছেন বলে দাবি করেন। তবে বিয়ের কোনো দলিল দেখাতে পারেননি। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আব্দুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় কনেস্টেবল নাসিরের নামে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের বলা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন করে বিয়ে করতে হবে। উভয়ের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র এডিসি রাকিবুল হাসান বলেন, বেশকিছু দিন ধরেই তারা একসঙ্গে ছিলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার নোটিশ করেছে। গত রাতে আটক করার পর তারা বলেছে, কালেমা পড়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের দলিল না থাকায় কেউ তাদের কথা বিশ্বাস করিনি।