ঢাকার আলকি কনভেনশন হলে আইশার ট্রাকস কাস্টমার মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান করেছে রানার মোটরস লিমিটেড। এ আয়োজনে শতাধিক মিডিয়াম ডিউটি সেগমেন্টের সম্মানিত কর্পোরেট গ্রাহক অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আইশার ট্রাকের উন্নত কারিগারি দক্ষতা, সুবিধাসমূহ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, যা গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করেছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভলভো আইশার কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেডের (ইন্ডিয়া) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান অরোরা, ⁠রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, রানার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হোসেন। এছাড়াও রানার গ্রুপ ও ভলভো  আইশার কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেডের (ইন্ডিয়া) অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি বিশেষ হয়ে ওঠে কয়েকজন সম্মানিত গ্রাহকের হাতে নতুন আইশার ট্রাক হস্তান্তরের মাধ্যমে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রানার মোটরস লিমিটেড আইশার ট্রাক ও গ্রাহকদের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারত্ব তৈরি করেছে, যা সাফল্যের অন্যতম চালিকা শক্তি।

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ