মহাসড়কে লবণ ছিটিয়ে আমদানি বন্ধের দাবি
Published: 27th, February 2025 GMT
লবণ আমদানির প্রতিবাদে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুটাখালী হাইস্কুলের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন হাজারো লবণচাষি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলে। এ সময় চাষিরা মহাসড়কে লবণ ছিটিয়ে রাখেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
চাষিরা অভিযোগ করেন, লবণ মৌসুমের শুরুতেই মিল মালিকরা পরিকল্পিতভাবে দাম কমিয়ে বিদেশ থেকে শিল্প লবণ আমদানির পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে চলতি মৌসুমে প্রতি মণ লবণের দাম দাঁড়িয়েছে ২৪০ টাকা। লবণচাষিরা এতে পুঁজি হারিয়ে পথে বসছেন।
বক্তারা বলেন, একদিকে লবণের দর পতনের কারণে চাষিরা পুঁজি হারিয়েছেন, অপরদিকে বড় বড় কোম্পানি প্রতি কেজি লবণ ৪০ টাকায় বিক্রি করছে। আমদানি বন্ধ ও লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
খুটাখালী হাইস্কুলের কাছে কর্মসূচিতে কয়েক হাজার লবণচাষি অংশ নেন। তাদের অনেকের শরীরে ছিল কাফনের কাপড় জড়ানো। কেউ কেউ মহাসড়কে লবণ ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেখানে বক্তব্য দেন ডুলাহাজারা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ চৌধুরী, শোয়াইব ইসলাম, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান মাওলানা আবদুল রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক