লবণ আমদানির প্রতিবাদে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুটাখালী হাইস্কুলের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন হাজারো লবণচাষি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলে। এ সময় চাষিরা মহাসড়কে লবণ ছিটিয়ে রাখেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

চাষিরা অভিযোগ করেন, লবণ মৌসুমের শুরুতেই মিল মালিকরা পরিকল্পিতভাবে দাম কমিয়ে বিদেশ থেকে শিল্প লবণ আমদানির পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে চলতি মৌসুমে প্রতি মণ লবণের দাম দাঁড়িয়েছে ২৪০ টাকা। লবণচাষিরা এতে পুঁজি হারিয়ে পথে বসছেন।

বক্তারা বলেন, একদিকে লবণের দর পতনের কারণে চাষিরা পুঁজি হারিয়েছেন, অপরদিকে বড় বড় কোম্পানি প্রতি কেজি লবণ ৪০ টাকায় বিক্রি করছে। আমদানি বন্ধ ও লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে লবণচাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

খুটাখালী হাইস্কুলের কাছে কর্মসূচিতে কয়েক হাজার লবণচাষি অংশ নেন। তাদের অনেকের শরীরে ছিল কাফনের কাপড় জড়ানো। কেউ কেউ মহাসড়কে লবণ ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেখানে বক্তব্য দেন ডুলাহাজারা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ চৌধুরী, শোয়াইব ইসলাম, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান মাওলানা আবদুল রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ