গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ শ্রমিক আহত হয়েছে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নেরর সোমবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে চরকা টেক্সটাইলের শ্রমিকদের নিয়ে বাসটি তুমুলিয়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক দিয়ে সোমবাজার হয়ে টঙ্গীর গাছার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বাসের সিএনজি সিলিন্ডারসহ পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বাসে থাকা শ্রমিকরা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৭ জন আহত হন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের এক ইউনিট দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহত শ্রমিকদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আমেনা নামে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি টঙ্গীর বাহার মার্কেট এলাকার বাদশার স্ত্রী।

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে বাসের পুরো বডি পুড়ে গেছে, তবে ইঞ্জিন ভালো রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সময় বাসের চালককে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগার পর চালক বাস ফেলে পালিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”

ঢাকা/রফিক/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ