ওয়ালটন কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
Published: 27th, February 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) এক্সিকিউটিভদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু করেছে।
ওয়ালটন ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ কর্মশালা দুই দিনব্যাপী চলবে। এতে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ২০০ সিআরএম এক্সিকিউটিভ পর্যায়ক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
কর্মশালায় কাস্টমার সার্ভিস দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান, পণ্য ও সেবার জ্ঞান, গ্রাহকসন্তুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং বিক্রয় ও রিটেনশন কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ওয়ালটনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, গ্রাহকদের উন্নত ও দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে।
ওয়ালটনের চিফ সার্ভিস অফিসার নিয়ামুল হক বলেছেন, “গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দ্রুততম সময়ে মানসম্মত সার্ভিস নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, “ওয়ালটন শুধু পণ্য বিক্রিই করে না, বরং গ্রাহকদের উন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে সিআরএম এক্সিকিউটিভদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এর মাধ্যমে আমাদের সার্ভিস টিম আরো দক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে পারবে।”
ওয়ালটনের কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজমেন্ট সেকশনের প্রধান মো.
ওয়ালটনের ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের রওশন আলী বুলবুল বলেছেন, “সারা দেশে উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রশিক্ষিত এক্সিকিউটিভরা আরো দক্ষ হয়ে গ্রাহকদের উন্নত সেবা দিতে পারবেন, যা ওয়ালটনের সার্ভিস নেটওয়ার্ককে আরো শক্তিশালী করবে।”
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এক্সিকিউটিভদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, যা গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র বল ছ ন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৮ দাবিতে সিলেট বিভাগে রেল অবরোধ
সিলেট-আখাউড়া রেলপথে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা, রেলপথ সংস্কার, দুটি নতুন ট্রেন চালু করাসহ আট দাবিতে পূর্বঘোষিত রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সিলেট বিভাগের সব রেলস্টেশনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধের কারণে ট্রেন যাত্রা বিলম্ব হয়। বিশেষ করে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলস্টেশনে অবরোধকারীরা রেললাইনে অবস্থান করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর, ভানুগাছ স্টেশনে দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও একাত্মতা প্রকাশ করে লাল পতাকাসহ স্টেশনগুলোতে অবস্থান নেন।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক আতিকুর রহমান এক বিবৃতিতে সাধারণ জনগণকে ১ নভেম্বর ট্রেন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন আগেই।
তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের রেলপথের বেহাল অবস্থা দূর করতে এবং যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে ৪ মাস ধরে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ায় অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে আন্দোলনকারীরা ট্রেন আটকালে রেলওয়ের ঢাকা অঞ্চলের ডিআরএম ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনার আশ্বাস দেন।
এর পর ১০ অক্টোবর কুলাউড়া জংশন স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিং রুমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রেলওয়ের ঢাকা অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. মহিউদ্দিন আরিফ। তবে, বৈঠকে আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলনকারীরা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ নভেম্বর অবরোধের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীদের ৮ দাবি
সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা। আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন বাস্তবায়ন। আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্তত একটি লোকাল ট্রেন চালু করা। আখাউড়া-সিলেট সেকশনের সব বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু করা। কুলাউড়া জংশন স্টেশনে আসন বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। কালনী ও পারাবত ট্রেনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করা। শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার ও যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।আন্দো
লনকারীরা বলছেন, রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সিলেটবাসী প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।
কুলাউড়া রেল স্টেশনে অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাছ খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবেদ রাজা প্রমুখ।
এদিকে, অবরোধ চললেও সকাল সাড়ে ৮টার পর সিলেট থেকে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস কুলাউড়া স্টেশন ছেড়ে চলে গেছে।দুপুর ১২টা ৩০ মি
নিটে কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার রোমান আহমদ জানিয়েছেন, রেলপথ অবরোধের কারণে দুটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্ব হচ্ছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেছেন, আট দফা দাবিতে অবরোধ চললেও এর প্রভাব সিলেট রেলস্টেশনে পড়েনি। সকালের কালনী ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আবার চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেন দেরিতে স্টেশনে আসায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। ১২টার জয়ন্তিকা ট্রেন একটু দেরিতে ছেড়ে যায়।
ঢাকা/আজিজ/রফিক