নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. নাজমুল ইসলাম গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা র‌্যাব-১১ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, অত্র মামলার ভিকটিম আসামিদের বাড়িতে ভাড়া থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি চাকুরি করতো। ভিকটিম আসামির বাড়িতে থাকা অবস্থায় মো.

নাজমুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিত। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার স্বামী ওই বাসায় দেখা করতে গেলে গ্রেপ্তার আসামিসহ অপর আসামি তার বন্ধু রনি এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন মিলে ভিকটিমের স্বামীকে টানাহেচড়া করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিসহ মারধর করে মোবাইল সেট এবং নগদ টাকা নিয়ে যায়। 

এসময় আসামিরা ভিকটিমের স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে তার ভিডিও তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তীতে একই তারিখ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্রেফতার ১নং আসামি ও ২নং আসামিদ্বয় ভিকটিমের ভাড়াটিয়া বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে আসামির মোবাইলে থাকা ভিকটিমের স্বামীকে হত্যাচেষ্টার ভিডিও ভিকটিমকে দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু প্রকাশ করলে আসামিরা তার স্বামীকে খুন করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। 

পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে