‘অশান্তির পাকিস্তানে’ এত আনন্দ কোত্থেকে আসে
Published: 28th, February 2025 GMT
এই দেশে অশান্তির হাজারটা কারণ আছে। তবু মানুষগুলোকে দেখে কেন যেন মনে হয় তারা খুব শান্তিতে আছে। জীবনে কোনো টেনশন নেই। আছে শুধু আনন্দ, ফুর্তি, খাওয়াদাওয়া। এত হাসি-আনন্দ কোথায় পায় ইসলামাবাদের মানুষ?
ক্রিকেটে মাঠে তো অবস্থা যাচ্ছেতাই। ঘরের মাঠের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে গ্রুপ পর্বেই বিদায়। তাতে এ দেশের মানুষের কোনো আক্ষেপ আছে বলে মনে হচ্ছে না। অনেকে তো বরং খুশি। যাক পাকিস্তান আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই! এবার কাজেকর্মে মন দেওয়া যাবে।
সাইদ খান নামের এক ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় দুবাই থেকে ইসলামাবাদ আসার ফ্লাইটে। ব্রুনেইপ্রবাসী পাকিস্তানি ব্যবসায়ী, ব্যবসা ডালপালা মেলেছে জাপান, ফিলিপাইনেও। পাকিস্তানে তো আছেই। এখানে আসার পরও নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। মাঝে একদিন ডিনারের নিমন্ত্রণও দিলেন। রাতের আড্ডায় গর্ব করে বলছিলেন, ‘আমাদের হাজারটা সমস্যা থাকতে পারে; কিন্তু এ দেশে গৃহহীন মানুষ নেই। এখানে ফুটপাতে কাউকে শুয়ে থাকতে দেখবেন না। অথচ বড় বড় দেশেও আমি তা দেখেছি।’
কথাটা পুরোপুরি মানতে পারিনি। এর আগে পাকিস্তানের এসে করাচি লাহোরে ভবঘুরে দেখেছি। ইসলামাবাদের সব ছবি পাকিস্তানের অন্য শহরের সঙ্গে মেলে না। তবে এটা ঠিক পাকিস্তানের রাজধানী শহরের ক্ষেত্রে সাইদ খানের কথা পুরোপুরি সত্য। তারা রাজধানীকে অন্তত রাজধানীর মতোই রেখেছে।
পরিপাটি ছিমছাম সাজানো শহর ইসলামাবাদ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব দ
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’
পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ।
সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।
মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”
এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে।
তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।
ঢাকা/কাওছার/রফিক