পাকিস্তান ক্রিকেট: সমস্যার অদ্ভুত সমাধান দিলেন হাফিজ
Published: 28th, February 2025 GMT
২০২৩ বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—টানা তিন বছরে তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের কোচ পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন মিকি আর্থার ও গ্রান্ট ব্রাডবার্ন, ২০২৪ বিশ্বকাপের পর গ্যারি কারস্টেন। এঁদের কেউ চাকরি ছেড়েছেন, কারও চাকরি গেছে।
এবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদও বিদায় নিতে পারেন। আলোচনা আছে আবার বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সাফল্য পাওয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) একের পর এক বিদেশি কোচ, পরামর্শক ও কোচিং স্টাফ আনার বিষয়টিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
সমস্যার সমাধানে পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ক খোঁচার সুরে বলেছেন, বিদেশি কোচ আনতে পারলে বিদেশি বোর্ড চেয়ারম্যান কেন নয়?
পাকিস্তান ক্রিকেট দলে গত এক দশকের মধ্যে কোচ, অধিনায়ক বদল হয়েছে বারবার। ২০১৯ সালে মিসবাহ উল হক থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী ও স্থায়ী মিলিয়ে মোট ৯ জন প্রধান কোচ দেখেছে পাকিস্তান। প্রধান কোচের বাইরে ব্যাটিং, বোলিং, ফিজিওসহ কোচিং স্টাফের অন্যান্য পদেও পরিবর্তন এসেছে বারবার।
খেলা ছাড়ার পর পাকিস্তান দলের টিম ডিরেক্টর ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা