Samakal:
2025-06-16@06:27:52 GMT

ম্যাক্সওয়েল বনাম আফগানিস্তান

Published: 28th, February 2025 GMT

ম্যাক্সওয়েল বনাম আফগানিস্তান

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে, প্রচণ্ড গরমে চোট সঙ্গী করে এক পায়ে ভর দিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সেই মহাকাব্যিক ইনিংসের গল্প তো সবারই জানা। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ২৯২ রানের টার্গেটে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা ছিল শতভাগ! 

কিন্তু হার না মানা ২০১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে ম্যাক্সওয়েল ক্রিকেটীয় রূপকথার গল্পই লেখেননি, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন ঐতিহাসিক জয়। ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংসের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই আসরেও আলোচনায় ম্যাক্সি। সেই ম্যাচের পর শুক্রবার আবারও ওয়ানডেতে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সবার চোখ ম্যাক্সওয়েলের দিকে।

আলোচিত সেই ম্যাচের পর সাদা বলের ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া- আফগানিস্তান। গত বছরের ১২ জুন কিংস্টনে টি২০ বিশ্বকাপে অসিদের ২১ রানে হারিয়ে আফগানরা খেলেছিল সেমিফাইনালে। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার বড় সুযোগ আফগানদের। যদিও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে চারবারের দেখায় একবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পর্যুদস্ত করতে পারেননি রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিরা।

তবে বুধবার ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি ইংল্যান্ডকে হারানোয় আফগানরা এখন আরও আত্মবিশ্বাসী। দেড় বছরের মধ্যে দুটি বড় আসরে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দলটির কোচ জোনাথন ট্রট তো রীতিমতো হুমকি দিয়ে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়াকে। আফগানিস্তানকে হালকা করে দেখার দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘আগে হয়তো সূচিতে এই ম্যাচটি দেখে লোকে ভাবত, ঐতিহ্যবাহী কোনো টেস্ট দলের সঙ্গে খেলার চেয়ে এটি সহজ হবে। তবে এই সংস্করণে, এমন কন্ডিশনে, আমার এখন আর তা মনে হয় না। আমি যা দেখি, আমাদের প্রতিটি ম্যাচই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং প্রতিটি ম্যাচেই আমরা জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে নামি। অস্ট্রেলিয়াও আমাদের হালকাভাবে নেবে না।’

লড়াইটা অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তানের হলেও ঘুরেফিরে আসছে ম্যাক্সওয়েলের নাম। ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের পর আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের কথা, ‘আপনি কি মনে করেন, আমরা এখানে এসেছি শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলতে? আমরা পুরো অস্ট্রেলিয়া দল নিয়েই পরিকল্পনা করছি। আমি জানি, তিনি (ম্যাক্সওয়েল) ২০২৩ বিশ্বকাপে অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন, তবে সেটা এখন অতীত। সেই ম্যাচের পর আমরা কিন্তু তাদের হারিয়েছি (টি২০ বিশ্বকাপে)। আমরা সর্বদা সব প্রতিপক্ষকে নিয়েই ভাবি, ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে পরিকল্পনা করি না। আমরা চেষ্টা করব, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে নয়, আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলব।’

লাহোরে দুটি ম্যাচেই ৩০০-এর ওপরে স্কোর হয়েছে। এই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের ৩৫১ রান তাড়া করে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৫ রান করে ৮ রানে জিতেছে আফগানিস্তান। তাই আজকের ম্যাচেও রান উৎসব হবে বলে ধারণা সবার। গ্রুপ ‘বি’র এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টানা দুই হারে ইংল্যান্ড বিদায় নেওয়ায় দুই টিকিটের দাবিদার এখন অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ৩ পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়া ও প্রোটিয়াদের। ২ পয়েন্ট পাওয়া আফগানরা আজ জিতলে চলে যাবে সেমিফাইনালে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকে তাকিয়ে থাকতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে। আর যদি অস্ট্রেলিয়া জিতে যায়, তাহলে ইংল্যান্ডের পর আফগানদের বিদায়ঘণ্টা বাজবে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাবে সেমিফাইনালে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ল ন ম য ক সওয় ল ম য ক সওয় ল র আফগ ন স ত ন স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ

২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি উত্থাপনের কথা রয়েছে। বৈঠকে অনুমোদন হলে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় একসঙ্গে দুই কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ গতকাল শুক্রবার তার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকের এ তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের এ বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পেয়ে যাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে হতে পারে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ বলেছিল, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে এ ঋণ কর্মসূচি। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া—মূলত এ তিন কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিলসহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর পাওয়া যায়নি। আইএমএফের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। প্রায় প্রতিবছর ওয়াশিংটনসহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে বড় ধরনের তুষারপাত হয়। গত বছরও তাই হয়েছে। অতিমাত্রার বরফের কারণে অচল হয়ে যায় জনজীবন। মার্কিন প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করে। তুষারপাতের কারণে আইএমএফসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল অনেক দিন।

পরে আইএমএফের পক্ষ থেকে প্রথমে এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও পরে মার্চে পর্ষদ বৈঠকের কথা বলা হয়। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি দল পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসে দুই সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে শর্ত পরিপালন নিয়ে দর–কষাকষিতে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। তখন দর-কষাকষি হচ্ছিল মূলত মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা নিয়ে। আইএমএফ তা চাইলেও করতে চাইছিল না সরকার।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছায় ও বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পর্ষদ বৈঠকে অনুমোদন হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মাথায় আইএমএফ অর্থ ছাড় করে দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবের যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিম
  • ‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার
  • ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে তিন গুণ
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা
  • শাহরুখের পারিশ্রমিক ৪২৩ কোটি টাকা!
  • অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
  • ইরানকে পরমাণু জগতে ঠেলে দিয়েছে ইসরায়েলই
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ
  • সামরিক শক্তিতে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে কে এগিয়ে